চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পূর্ণিমার ‘জো’ হওয়ায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

‘জো’ পড়লে জালে ইলিশ পড়ে বেশি। গতকাল শুক্রবার ছিল পূর্ণিমার ‘জো’। সাগরে জেলেরা জাল ফেলতেই ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তাই হাসিমুখে উপকূলে এসেছেন তারা। গতকাল কাট্টলী, সীতাকু-, পতেঙ্গা উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। দামও ছিল সহনীয় পর্যায়ে। কোন কোন ক্রেতা গতকাল ইলিশের দাম তুলনামূলক সস্তা ছিল বলে পূর্বকোণকে জানিয়েছেন। ফারুক ইসলাম নামে এক ক্রেতা পূর্বকোণকে জানিয়েছেন, তিনি কাট্টলী রাণী রাসমনী ঘাট থেকে সাত কেজি ইলিশ মাছ কিনেছেন ১৯০০ টাকায়। এর মধ্যে তিনটি ইলিশ ছিল প্রতিটির ওজন এক কেজির ওপরে। বাকিগুলি এর চেয়ে ছোট। মিঠু দত্ত নামে অপর এক ক্রেতা জানান, গতকাল এক কেজি আকারের ইলিশের দাম পড়েছিল কেজি ৪৭৫ থেকে ৫০০ টাকায়। এই দামে ইলিশ কিনতে পেরে তিনি খুশী। ফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি তারাও। গেল বছরের তুলনায় এবার আরও লাভবান হওয়া যাবে। যেহেতু জালে প্রচুর সংখ্যক ইলিশ ধরা পড়ছে সামনে ইলিশের দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন আড়তদাররা। এটি ইলিশের ভরা মৌসুম। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলে যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে সেগুলো ফিশারিঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া

ক্রেতারা নিজে গিয়েই নৌকা থেকে মাছ কিনে নিচ্ছেন। তাতে জেলেরা মাছ বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন। অপরদিকে ক্রেতারাও বাজারের চেয়ে কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে অনেক খুশি। মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত ২৪ জুলাই থেকে জালে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে-ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটেছে। চট্টগ্রামের জেলে পল্লীগুলোতে এখন আনন্দের বন্যা। নগরীর ফিশারি ঘাটে দেখা গেছে, ইলিশভর্তি নৌকা নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন জেলেরা। ছোট-বড় সব আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ঘাটে। তবে বাজারে এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার-১২শ’ টাকায়।
মৎস্য বিভাগ বলছে, বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে ইলিশের গতিপথ। পুরো মৌসুম জুড়ে এবার ইলিশের সরবরাহ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার সুফল পেতে শুরু করেছেন জেলেরা। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও ডুবোচর এবং পদ্মা ও মেঘনার নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে বাধা পাচ্ছে। এতে ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট