চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মেয়াদ শেষ, নির্বাচন নেই ৪ বছর

রায়হান উদ্দিন, চবি

১৩ নভেম্বর, ২০২২ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি’র মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে। চার বছর পার হলেও স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন বা পুনর্গঠন নিয়ে দায়িত্বশীলদের কোনো তোড়জোড় নেই।

নিজেদের নেতৃত্ব ধরে রাখতেই তাদের এই কৌশল বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক আওয়ামীপন্থী শিক্ষক। এ অবস্থায় চবি হলুদ দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্যদের অধীনে আর কোন নির্বাচন চান না হলুদ দলের সমর্থক শিক্ষকরা। এরই মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনের জন্য ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন হলুদ দলের ২০১ শিক্ষক।

 

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলুদ দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদ ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি’র সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হয় দুই বছরের জন্য। হলুদ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর চার বছর পার হতে চললেও নতুন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

চিঠিতে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, ‘২০১৭ সালে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন সদস্যই নিষ্ক্রিয়। স্বাভাবিক অবসর, লিয়নে, শিক্ষা ছুটিসহ নানা কারণে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে স্ট্যান্ডিং কমিটি অকার্যকর হয়ে আছে।’

মনোনয়নে দলীয় পছন্দের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না অভিযোগ তুলে চিঠিতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটি হলুদ দলের বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের কোনভাবেই প্রতিনিধিত্বশীল নয়। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের দেয়া মনোনয়নের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর নির্বাচনে ভরাডুবি। অনেক প্রার্থী স্ট্যান্ডিং কমিটির পছন্দের প্রার্থীর বিরোধিতা করেও জয় লাভ করেছেন। যা প্রমাণ করে এই কমিটির প্রতি সাধারণ সদস্যদের আস্থা নেই।

 

হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির বর্তমান সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, ‘৩ বছর গেল কমিটির মেয়াদ শেষ। কিন্তু তারা নির্বাচন না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত প্রার্থী বিভিন্ন পর্ষদে মনোনয়ন দিয়েছেন। লজ্জার ব্যাপার হলো তাদের হার হয়েছে। যা প্রমাণ করে এই কমিটির উপরে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আস্থা নেই। সামনে অনেকগুলো পর্ষদের নির্বাচন হবে। মেয়াদহীন স্ট্যান্ডিং কমিটি যদি সেখানেও খামখেয়ালিভাবে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমরা আহবায়ককে চিঠি দিয়েছি।’

হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী চিঠি পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় একটা দরখাস্ত পেয়েছি। চিঠির শেষ প্যারায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি না আসা পর্যন্ত সকল প্রকার বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেটা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী। কিন্তু হলুদ দল আদর্শিক মতাদর্শের একটি প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সাথে এটার কোন সম্পর্ক নেই। আবার চিঠিতে স্বাক্ষরিত দুই একজন আমাদের সদস্য না। তবুও আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিব।’

 

পূর্বকোণ/এএস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট