চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

খরচ বাড়লো পাঁচশ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ নভেম্বর, ২০২২ | ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ১ম সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে একনেক। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক’র সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে নেওয়া এই প্রকল্পের খরচ ৫০৩ কোটি টাকা বাড়লো। সংশ্লিষ্টরা জানান- চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০১৯ এর জুলাইয়ে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

 

 

প্রকল্পের আওতায় আনোয়ারা, পটিয়া, হাটহাজারী এবং চট্টগ্রাম শহরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্য ঠিক করা হয়। তখন এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ এর জুন পর্যন্ত। পরে করোনাসহ নানা কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত ধরা হয়। ব্যয় না বাড়িয়েই মেয়াদ বাড়ানোর এই অনুমতি দেয় পরিকল্পনা কমিশন। আনোয়ারায় উৎপাদিত ৮৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত, সঞ্চালন ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার সঞ্চালনের লক্ষ্যে কয়েকটি প্যাকেজে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

 

তবে কাজ শুরুর পর একটি সঞ্চালন রুট নিয়ে আপত্তি দেয় সরকারি একটি সংস্থা। তাদের আপত্তির মুখে হাটহাজারী রামপুর রুটে ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন থেকে ২.৬৬ কিলোমিটার লাইন ইন লাইন আউট নির্মাণ বাদ দেওয়া হয়। এখন এই রুট বাদ দিয়ে খুলশী-আনন্দবাজার-রামপুরা রুটে ৯.৮৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রুট পরিবর্তন ছাড়াও প্রকল্পের অধীনে ক্রসিং টাওয়ার, এংকর টাওয়ার, ট্রান্সমিশন কম্পাউন্ড নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিটার ভূমি অধিগ্রহণ (ভাড়া) করা হচ্ছে। এ জন্য বাড়তি ব্যয় করতে হবে পিজিসিবিকে। পুরো প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে সংশোধনী প্রস্তাবে।

 

পিজিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন- ২৫ কিলোমিটার ৪০০ কেভি লাইন থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল টানা হচ্ছে এই প্রকল্পের আওতায়। দেশে এই ধরনের কাজ এটাই প্রথম। এ কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। রুট পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণ, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় প্রকল্পের খরচ ৫০৩ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

 

প্রকল্প নেওয়ার তিন বছর পার হলেও তেমন অগ্রগতি হয়নি দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ‘স্বপ্ন দেখানো’ এই প্রকল্পের। ২০১৯ এর জুলাইয়ে নেওয়া এই প্রকল্পে ২০২২ এর জুন পর্যন্ত অবকাঠামোগত অগ্রগতি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এছাড়া আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের পর পুরোদমে কাজ চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট