চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ নভেম্বর, ২০২২ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামাত অপশক্তির ছায়া। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে এদেশকে পাকিস্তান বানাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার এবং সাবধান। তিনি এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

 

গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডের ঐতিহাসিক জনসভা প্রমাণ করবে এই চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের দুর্জয় ঘাঁটি। যুগে যুগে চট্টগ্রাম বিপ্লব ও পরিবর্তনের বার্তা শুনিয়েছে। মাস্টার দা সূর্যসেন, কাজেম আলী মাস্টার, মনিরুজ্জামান ইসলামাবদী, এম. এ. আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, এম.এ হান্নান, এম. এ. মান্নান, আখতারুজ্জামান বাবু ও এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এই বীর চট্টলা থেকে জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

তাই, আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসবেন এবং জাতিকে সুবার্তা দেবেন। এ আগমন উপলক্ষে মহানগরের প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে ব্যাপকহারে প্রতিটি অলি-গলি, পাড়া- মহল্লায় জনসভার ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জনসভাকে স্মরণকালের জনসমুদ্রে পরিণত করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করে এই চট্টগ্রামকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি সংসদীয় আসন উপহার দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মত ও বিভেদ পরিহার করে আবার একাত্তরের মতোই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি যতই টালবাহানা করুক না কেন, তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে। না এলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

 

কারণ বিএনপি ২০১৪ সালে দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, পেট্রোল বোমা মেরে আগুন সন্ত্রাস করে দেশকে কয়লা বানিয়েছিল, তা বাংলার জনগণ ভুলেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বিএনপিসহ গুটিকয়েক দল মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে সমুচিত জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর ঘিরে চট্টগ্রামে চারিদিকে আনন্দের বন্যা বইছে।

 

তিনি বলেন, ৪ ডিসেম্বরের জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে আগামী ৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে (আইসিসি) চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট, ইউনিয়ন এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক দলীয় কাউন্সিলর, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যসহ সকল উপজেলার চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় সাংসদ, মন্ত্রী ও মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিশেষ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ও দিক নির্দেশনা দেবেন। সেই প্রতিনিধি সভায় তালিকাভুক্ত কার্ডধারী নেতৃবৃন্দ যথাসময়ে হলে প্রবেশ করতে পারবেন।

 

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমশের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেন, মাহাবুবুল হক মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবায়েরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, গাজী শফিউল আজিম, নুরুল আবছার মিয়া, কামরুল হাসান বুলু, পেয়ার মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, বেলাল আহমেদ সহ ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ।

 

পেছাল দক্ষিণ জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন : এদিকে আওয়ামী লীগের সমাবেশের কারণে পিছিয়েছে দক্ষিণ জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনও। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১ ডিসেম্বর এবং নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ৪ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৪ ডিসেম্বরের জনসভার কারণে এই দুই সম্মেলন কয়েকদিন পিছিয়ে যাচ্ছে।

 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, দক্ষিণ জেলার সম্মেলন হবে ১২ ডিসেম্বর। আর নগর কমিটির সম্মেলন কখন হবে সে বিষয়ে ৯ নভেম্বর সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

 

পূর্বকোণ/আর

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট