চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জাকিরের অর্ধগলিত লাশের রহস্য জানা যায়নি ৪ মাসেও

নাজিম মুহাম্মদ

২ নভেম্বর, ২০২২ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায় ট্রেইলর চালক জাকির হোসেনের। লাশ উদ্ধারের চারমাস পার হলেও জানা যায়নি জাকিরের হত্যার কারণ। জাকিরকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু হত্যার রহস্যও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। জাকিরের মৃত্যুর বিষয়ে গত ৩ জুলাই বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমান।

 

তিনি জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নে। জাকির (৩৪) ট্রেইলার চালক ছিল। পরিবারের সদস্যদের সাথে নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং মিষ্টিমুখের সামনে জনৈক হাসানের ভাড়াটিয়া ছিল। গত ২৯ জুন রাত আনুমানিক পৌনে আটটার সময় গাড়ির খরচের টাকা আনতে সল্টগোলা মসজিদ গলির রাসেল ট্রান্সপোর্টে গিয়েছিল। রাত (২৯ জুন) সাড়ে নয়টার সময় ছেলের বন্ধু শরীফ বাসায় এসে জাকিরের মুঠোফোনটি তার বোন আয়েশা আক্তারকে দিয়ে যায়। শরীফের বাসা ঈশান মিস্ত্রি হাটে। তিনি জানিয়েছেন, অপরিচিত দুইজন লোকের কাছ থেকে মোবাইলটি পেয়েছেন। জাকির রাতে বাসায় না ফিরলে ৩০ জুন বন্দর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন জাকিরের পরিবার।

 

হাবিবুর জানান, ২ জুলাই সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারেন বন্দর থানার পাঁচ নম্বর গেটের বিপরীতে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের ৬৭-৬৮ নম্বর পিলারের পশ্চিমে রেল লাইনের পাশে নালায় একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। হাবিবুর ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত লাশের পরনের কাপড় দেখে জাকিরের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার সময় জাকিরের বন্ধু শরীফের মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

জানতে চাইলে বন্দর থানার পরিদর্শক (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, জাকিরের মৃত্যু সম্পর্কে তেমন কিছু এখনো পাওয়া যায়নি। আসলে এটি হত্যাকাণ্ড কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট