চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠতে নিষেধ করায় চবিতে ছাত্রলীগকর্মীকে মারধর

চবি সংবাদদাতা

৩০ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

জুতা পায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মিনারের বেদিতে বসে ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আল আমিন। ছাত্রলীগেরই অন্য পক্ষের কর্মী জাহিদ হাসান বিপ্লবের দৃষ্টিগোচর হয় বিষয়টি। বেদিতে বসা আল আমিনকে ‘জুতা পায়ে বেদিতে ওঠা নিষেধ’ জানালে চট করেই রেগে যান আল আমিন। ঘটনার এক পর্যায়ে বিপ্লবকে মারধর করেন আল আমিনসহ তার সহযোগীরা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ সিএফসির (চুজ ফ্রেন্ডস উইদ কেয়ার) কর্মী। ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান বিপ্লব বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও উপ-গ্রুপ বাংলার মুখের কর্মী। ঘটনার পর চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নেন বিপ্লব।

 

আহত জাহিদ হাসান বিপ্লব বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমি লেডিজ ঝুপড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দেখি একজন লোক জুতা পায়ে শদীদ মিনারের বেদিতে উঠে মোবাইল ফোনে কথা বলছে। আমি ভাবলাম হয়তো বহিরাগত হবে। কাজ শেষে ফেরার সময়ও দেখি তিনি বসে আছেন। তখন আমি এগিয়ে গিয়ে জানতে চাই তিনি ক্যাম্পাসের কি-না। তিনি বললেন, কেন কী হয়েছে? আমি বলি, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠা নিষেধ। তখন তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে কলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ঘটনার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। আশেপাশে তার জুনিয়ররা ছিল। তারাও আমাকে মারধর করে। পরে আমার বন্ধুরা আমাকে লেডিজ ঝুপড়িতে নিয়ে মাথায় পানি দেয়। মারধরের কারণে আমার কপাল, হাটু, হাত কেটে গেছে। বুকে কেটে গিয়ে রক্ত বের হয়েছে। পরে চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছি। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। সেগুলো দেখলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

 

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আল আমিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ফোনে তো এতো কথা বলা যায় না। আপনি চাইলে সরাসরি কথা বলতে পারি।’

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। কাল ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

পূর্বকোণ/রায়হান/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট