চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সেন্টমার্টিনে আটকা চার শতাধিক পর্যটক দ্বীপ ছেড়েছে

টেকনাফ সংবাদদাতা

২৩ অক্টোবর, ২০২২ | ৭:২০ অপরাহ্ণ

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা চার শতাধিক পর্যটক দ্বীপ ছেড়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূল প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতের মধ্যেই সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া চার শতাধিক পর্যটককে কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে জাহাজের মালিক ও জেলা প্রশাসন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উত্তাল জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি, আবহাওয়াও গুমোট। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এবং যেসব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন, তাঁদের জাহাজে ওঠে কক্সবাজার ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে দ্বীপে মাইকিং করছে জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব ও ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক)। আটকা পড়া পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে আসা জাহাজে সেন্টমার্টিনদ্বীপ ত্যাগ করেছেন। তবে একই জাহাজে করে আনুমানিক ৫০ জন পর্যটক নতুন করে দ্বীপে এসেছেন। এরা ইচ্ছাকৃতভাবে রয়ে গেছেন’।

 

স্কোয়াব সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। এমভি কর্ণফুলী জাহাজ সেন্টমার্টিনে গেছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সব পর্যটকদের জাহাজে তুলে কক্সবাজারে পথে রওনা দেবে। পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হতে পাঁচ থেকে সাত দিনও সময় লেগে যেতে পারে’।

এমভি কর্ণফুলী জাহাজের আঞ্চলিক পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণে সেন্টমার্টিনে যেসব পর্যটক আটকে পড়েছেন, সবাই এই জাহাজের যাত্রী। সাগর উত্তাল হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনা হবে। রাত ৯টার মধ্যে জাহাজটি পুনরায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে’।

 

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দ্বীপের তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা আছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে’।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে না’।

 

পূর্বকোণ/কাশেম/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট