চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদুল আজহা পালিত জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ধর্মীয় যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রামে ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। ঈদের জামাতে দেশের সর্বাঙ্গিন সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে মোনাজাত করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ জমিয়তুল ফালাহ্’র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আহমুদুল হক। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, চসিক কাউন্সিলর ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণ ঈদ জামাতে শরিক হন। একই স্থানে সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রধান মোফাচ্ছির কাজী মাওলানা মোহাম্মদ ছালেকুর রহমান আলকাদেরী। জামাতশেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
ঈদ জামাতশেষে মুসল্লিরা একে অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ১৬৫টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে ঈদুল আজহার অন্যতম জামাত এম এ আজিজ ষ্টেডিয়ামের সম্মুখস্থ সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টির থেকে রক্ষার উদ্যোগে প্রতিবারের মতো এবারও আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি প্যান্ডেলে অসংখ্য মুসল্লির উপস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাতে ঈমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, অতি. বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. নুরুল ফজল নিজামী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, অতি. জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন, অতি. জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন, অতি. জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আবু হাসান মো. সিদ্দিক, অতি. জেলা প্রশাসক (এল,এ) মো. আমিরুল কবির, অতি. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুল ইসলাম, এনডিসি আশরাফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় ঈদ জামাত কমিটির মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমসহ নগরীর বিশিষ্টজন।
কমিটির মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমের পরিচালনায় ঈদের নামাজ শুরুতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানব কল্যাণে সর্বোচ্চ আত্নত্যাগ করাই মূলতঃ কোরবানির ঈদের মূল তাৎপর্য। কোরবানি মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ে বিপদগামী কিছু স্বার্থবিরোধী মহল নানা প্রকার গুজব ছড়িয়ে দেশে এক অস্থিতশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশবাশীকে সতর্ক থাকার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব গুজবকারীদের কঠোর হস্তে দমনে সর্বাত্নক উদ্যোগ নিতে বলেন।
কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, দুনিয়ার সব ধরনের লোভ-মোহ ও আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার দিকে বান্দাকে ধাবিত হতে হয়। আমরা যদি আমাদের মনের পশুকে কোরবানি দিতে পারি তাহলে সমাজ ও পরিবারে প্রশান্তির সুবাতাস বইতে থাকবে। পুরো সমাজের চিত্রটা বদলে যাবে। দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য জেলার থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম থাকায় তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। ডেঙ্গুর আক্রান্ত থেকে রক্ষার জন্য দেশবাসীকে সচেতন ও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ সালেহ আহমেদ সুনোমান, দস্তগীর আলম নশু, ইরফান আলী ভূঁইয়া, আরশদ আলী ভুঁইয়া, আশরাফুজ্জামান আশরাফ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট