কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে ১৭ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে গেলো ২২টি বাসে করে ৮০০ রোহিঙ্গা। রবিবার (১৬ অক্টোবর ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে রওনা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের গাড়ি বহর।এসময় রোহিঙ্গাদের মালামাল বহনকারী কার্গো ও এম্বুলেন্স আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি সঙ্গে রয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও ঔষধ পত্র দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাসমুদৌজ্জা নয়ন।
তিনি বলেন, ভাসানচরে উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের ২ দল রাতে ৮০০জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন। মূলত তারা চট্টগ্রামে রাতে পৌঁছবেন। সোমবার সকালে সেখান থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জানা গেছে, ১৮টি মিনি বাসে করে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা ও তাদের মালামাল নিয়ে আসা হয় রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের ট্রানজিট পয়েন্টে আসে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ও সরকারের মধ্যে ভাসানচরে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হওয়ার পর তৃতীয় বারের মতো সেখানে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৭দফায় রোববার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে রোহিঙ্গাদের ২টি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান।
রোহিঙ্গা নেতা হাফেজ জালাল আহম্মদ ও মোহাম্মদ হোসন জানান, ক্যাম্পে সহিংস ঘটনার কারণে আতঙ্কিত উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া, তাজনিমার খোলা ও জামতলীসহ বিভিন্ন শিবিরের অনেকে ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন, যারা আগে সেখানে যেতে চাননি। রোহিঙ্গারা স্ব-ইচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছে সে আরও জানায়,সম্প্রতি ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ভাসানচর এলাকা পরিদর্শন করায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আরও উৎসাহ যোগাচ্ছে।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১৬তম দফায় ৩২ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। ২১ মার্চ মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে মালেশিয়াগামী ১৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পুলিশ উদ্ধার করে ভাসানচরে হস্তান্তর করে। এ ছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ