চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম অঞ্চলে চামড়া সংগ্রহ হয়েছে ৭৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ আগস্ট, ২০১৯ | ৪:২৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের আড়তদাররা কোরবানির জবাইকৃত পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন ৭৫ শতাংশ। ঈদুল আযহার ১ম দিন রাত পর্যন্ত এসব কাঁচা চামড়া নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় গড়ে ওঠা আড়তে সংগ্রহের পর চলছে লবণ দিয়ে সংরক্ষণের কাজ।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি জানায়, সমিতিভুক্ত ১১২ জন ও এর বাইরে ১৫০ জন আড়তদার এবার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে। প্রক্রিয়াজাত চামড়া এসেছে আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালেও। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের।

কয়েক হাত ঘুরে কাঁচা চামড়া আড়তে যাওয়ায় কোরবানি দাতারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। জেলার কয়েকটি উপজেলায় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের হাতে প্রায় বিনামূল্যে চামড়া তুলে দেয়ার খবরও পাওয়া গেছে। বাঁশখালী, চকরিয়া, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়িতে লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২শ থেকে ২৫০ টাকায়। বিনামূল্যেও ছাগলের চামড়া না নেয়ায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন অনেকে।

কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের জানান, ১ম দিন সংগ্রহ করা হয়েছে গরু, মহিষ ও ছাগলের প্রায় ৭৫ শতাংশ চামড়া। প্রতি বর্গফুট লবণ দেয়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। ছোট প্রতি পিস চামড়া ৩শ থেকে ৪শ টাকা, মাঝারি আকারের চামড়া ৪শ থেকে ৫শ টাকায় কেনা হচ্ছে। এছাড়া মহিষের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা, প্রতি বর্গফুট ১০ টাকায় কেনা হচ্ছে ছাগলের চামড়া।

চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারির মধ্যে এখন টিকে আছে শুধু মদিনা ট্যানারি ও রিফ লেদার। ইটিপি না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ আছে মদিনা ট্যানারির। ৫-৭ শতাংশ চামড়া কিনে থাকে রিফ লেদার। অবশিষ্ট চামড়া বিক্রি করতে হয় ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে।

আড়তদাররা জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে আজকালের মধ্যে আরও লবণ দেয়া কাঁচা চামড়া আড়তে এসে পৌঁছাবে। তবে লবণ না দেয়ায় বেশকিছু চামড়া নষ্ট যাওয়ায় সেসব চামড়া কেনা হচ্ছে না।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট