চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে হবে আরেকটি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নূর হোসেন মামুন

১০ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:২০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে আরেকটি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। হয়তো খুব দ্রুতই শুরু হবে এর কাজ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল ইন্সটিটিউট পরির্দশন শেষে আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) রাতে নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের এই আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়।

 

চট্টগ্রামের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা-উপজেলার কর্মকর্তাদের অধীনস্থ হাসপাতালসমূহে শতভাগ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনাকালে প্রতিটি চিকিৎসক স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করেছে বলেই বাংলাদেশ আজ ভালো আছে। করোনাকালে আমরা যদি ভালো করতে পারি, তবে স্বাস্থ্যখাতকে আমরা কেন উন্নত করতে পারব না? অবশ্যই পারবো।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে জাহেদ মালেক বলেন, আমাদের এখন যথেষ্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আছে সুবিশাল হাসপাতাল, যন্ত্রপাতি। যা কিছু সংকট হয় জানান সাথে সাথেই দেয়া হচ্ছে। প্রায় ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন্ট প্লান্ট, অক্সিজেন জেনারেটর, স্কেনার মেশিন, ক্যানেলাসহ সকল অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি প্রায় হাসপাতালে দেয়া হয়েছে।

 

তিনি বলেন, দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩৮টি মেডিকেল কলেজে প্রায় ১২ হাজার আসন রয়েছে। এসব হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৬০ হাজারের মতো। যা এক সময় ৮-১০ হাজারও ছিল না। দেশেই এখন বাইপাস সার্জারি হচ্ছে। আগে যা বাংলাদেশে কল্পনাও করা হয়নি। কোন হাসপাতালে এখন ঔষুধের অভাব নেই। করোনাকালেও আমরা ঔষুধের অভাব দেখিনি। এখন এ দেশেই ঔধুধ উৎপাদন হচ্ছে। এত কিছুর পরও কেন স্বাস্থ্যখাত পিছিয়ে থাকবে? উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মাত্র ৪০-৫০ শতাংশ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তদারকির অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সব সুযোগ সুবিধা বর্তমানে রয়েছে। শুধু আমাদের মনিটরিংয়ে অভাব রয়েছে। আমাদের সার্কুলেশনে অভাব রয়েছে। আমাদের লিডারশিপের অভাব রয়েছে। প্রতিটি কর্মকর্তা চাইলে তার প্রতিষ্ঠানে ভালো সেবা দেয়া সম্ভব।

 

উপজেলা পর্যায়ে শতভাগ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মনিটরিং বাড়াতে হবে। যারা নজর দিতে পারেন না, যাদের কোন অসুবিধা থাকে; তা আমাদের জানাবেন। আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো। সরকার সমস্যার কাছে যেতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে মিলে কাজ করলে দেশে শতভাগ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, চট্টগ্রাম মেডিকেলের অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার প্রমূখ। ধন্যবাদ জানান চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. সুমন বড়ুয়া। 

অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের প্রমূখ।  

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট