চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিপন্ন প্রজাতির উল্লুক পাচার, চট্টগ্রামে দুই যুবকের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ অক্টোবর, ২০২২ | ২:৩৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিপন্ন প্রজাতির উল্লুক পাচারের দায়ে দুই যুবককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির পেন্নাই গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে মো. মাজহারুল ও একই জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে মমিন।

 

আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্যাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ড দেন।

 

ইউএনও শরীফ উল্যাহ বলেন, বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী- বণ্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় এবং আমদানি-রপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটক ব্যক্তিরা অপরাধ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

 

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, উদ্ধার প্রাণিটির নাম গিবন উল্লুক। এটা মূলত গাছের মগ ডালে থাকে। ওইখানে ঘুরাফেরা, খাবার আহার, বাসস্থান সবকিছুই করে থাকে। প্রাণিটি খুবই বিপন্ন প্রজাতির। বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কয়েকটি বনাঞ্চলে গিবন উল্লুক দেখতে পাওয়া যায়। সবখানে এগুলো পাওয়া যায় না। এরা ফলমূল ও পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে। প্রাণিটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এদের বসবাস যেখানে ওই বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।

 

এর আগে সকাল ৮টায় চুনতি ফরেস্ট অফিসের সামনে থেকে বিপন্ন প্রজাতির গিবন উল্লুকটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

 

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, পাচারের সময় চুনতি ফরেস্ট অফিসের সামনে থেকে মহাবিপন্ন প্রজাতির উল্লুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ বছরের কারাদণ্ড দেন।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট