চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ছবি: শরীফ চৌধুরী

চট্টগ্রামে কুমারী পূজায় ঈশ্বরের আরাধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ অক্টোবর, ২০২২ | ১:৪৮ অপরাহ্ণ

কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী উদ্‌যাপিত হয়েছে। আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) নগরীর পাথরঘাটার শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জীউ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে সকালে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা।

 

হিন্দু শাস্ত্রমতে, কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধের মধ্য দিয়ে। কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হয়। সে সব দেবগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকে মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।

 

শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে কুমারী মায়ের নাম প্রীতি ধর। সে সেন্ট স্কলাসটিকা স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। শাস্ত্রমতে, তার নামকরণ করা হয় ‘মালিনী’। কুমারীর বয়স ৭ বছর হওয়ায় মালিনী নামে পূজিত হন সে। মালিনী নামে কুমারী পূজিত হলে ধৈনশ্বর্য লাভ হয়। সে মিন্টু ধর ও পলি ধরের কন্যা। সকাল সাড়ে ১০টায় পূজা শুরু হয়। কুমারী পূজায় পৌরোহিত্য করেন মন্দিরের ব্রাহ্মণ শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ।

 

প্রীতির পিতা ও মাতা জানান, মেয়েকে কুমারী পূজায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পেরে পরমভাগ্যবান মনে করছেন তারা।

 

শ্রীমৎ শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজা কুমারী পূজাকালে ভক্তবৃন্দদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। কুমারীরা শুদ্ধতার প্রতীক হওয়ায় মাতৃরুপে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য কুমারী কন্যাকে নির্বাচিত করা হয়। মূলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তবরূপ কুমারী পূজা।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘কুমারীতে সমগ্রজাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তিসহ সকল কল্যানী শক্তি সুক্ষরুপে বিরাজিতা। দুর্গাপূজায় কুমারী পূজা হলো অশুভ, অন্যায়, পাপ পঙ্কিলতার বিরুদ্ধে ন্যায়, পূর্ণ, সত্য, শুভ ও সুন্দরের যুদ্ধ কুমারী প্রতীকে। জগজ্জননীর পূজায় পরম সৌভাগ্য লাভ হয়। এই রুপ কুমারী সমগ্র জগতের বাক্যস্বরুপা, বিদ্যাস্বরুপা। তিনি এক হাতে অভয় এবং অন্যহাতে বর প্রদান করেন।’

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট