চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম বন্দর ও অফডকের ৩৭৯ কনটেইনারের জায়গা খালি হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন অফডকের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা ব্যবহার অযোগ্য ও পচা ৩৭৯ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ছিল ১৫৩টি এবং বিভিন্ন অফডকে ছিল ২২৬ টি কনটেইনার।

গত ১১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে মোট ৩৮২ কনটেইনার পণ্য থাকার কথা থাকলেও দুটি কনটেনারের পণ্য ১১ তারিখের আগেই ধ্বংস হয়েছিল। আর একটি কনটেইনার হস্তান্তর অযোগ্য হওয়ায় ওই কনটেইনারটি হালিশহরে সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে আনা সম্ভব হয়নি। তাই গতকাল রবিবার ওই কনটেইনার বাদে ৩৭৯ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করার কাজ শেষ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কাস্টমস সূত্র জানায়, এসব কনটেইনারে ছিল পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কফি ইত্যাদি।

পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সন্তোস সরেন পূর্বকোণকে বলেন, ৩৮২ কনটেইনার পচা ও ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস শুরু হয়েছিল ১১ তারিখ। শেষ হওয়ার কথা ২৬ তারিখ। এর আগেই ২৪ তারিখে আমরা সব কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করতে সক্ষম হই। মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টি পড়েছিল। ওই সময়েও আমাদের কাজ বন্ধ থাকেনি। এই পণ্য ধ্বংসের কাজটি শেষ হওয়ায় বন্দর ও অফডকে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৩৭৯ কনটেইনারের একটা সমাধান করা গেল। ফলে বিপুল জায়গা খালি হয়েছে বন্দর ও অফডকের।

এর আগে পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ৮ সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটিতে ছিল, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশর, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক ও নিরাপত্তা বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি।

পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম প্রসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কল্লোল দাশ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে মাটি খুঁড়ে বন্দরের পচা পণ্য ধ্বংস করা শুরু হয় ১১ সেপ্টেম্বর। ১৪ দিনে ৩৭৯ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের কাজ সফলভাবে শেষ হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, পচা-ব্যবহার অযোগ্য নষ্ট পণ্যগুলো সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্টেশনের পাশে একটি খালি যায়গায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবেশের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না।

পণ্য ধ্বংসের কাজে লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কে এম কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ পূর্বকোণকে জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা পণ্য ধ্বংস করার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি ও ক্রেনের ব্যবস্থা করি। এরপর বন্দর ও কাস্টমস থেকে কনটেইনারগুলো ডাম্পিং স্টেশনের পাশে এনে নির্দিষ্ট জায়গায় মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংসের কাজ শেষ করা হয়। বৃষ্টির মধ্যেও ১১ সেপ্টেম্বর থেকে টানা কাজ চলমান রাখায় নির্ধারিত তারিখের আগেই ধ্বংস করা শেষ করা সম্ভব হয়।

এদিকে বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৭ হাজার ৫শ কনটেইনার পণ্য নিলাম যোগ্য রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২৭০ কনটেইনার বিপজ্জনক পণ্যও রয়েছে।

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট