চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ব্যবসায়ীকে অপহরণ: কক্সবাজারে ডিবির ৭ সদস্যের ৭ বছরের কারাদণ্ড

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলার এক ধারায় ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও দু’লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় তাদের ৫ বছর এবং ১ লাখ টাকা দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ডিবি পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজম।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোজাম্মদ ইসমাঈল এ রায় দেন।

 

বিষয়টি ‍নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, টেকনাফের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় দণ্ডবিধির দন্ডবিধি ৩৮৬ ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৩৬৫ ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছর করে কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সদর থানার পেছন থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। পরে টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকিতে থাকা কর্মকর্তাকে জানালে তারা অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের মাইক্রোবাস তল্লাশি করে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।

 

এ ঘটনায় আবদুল গফুর বাদি হয়ে মামলা করেন। এর প্রায় ১০ মাস পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমটি এখনও চলমান রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/এএস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট