চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নুরজাহান গ্রুপের ৬ জনের পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১১:৩২ অপরাহ্ণ

নুরজাহান গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের মধ্যে ছয়জনের পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। তারা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সাউথইস্ট ব্যাংকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিরা দেশত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশেষ পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যে ছয়জনের পাসপোর্ট জব্দ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- নুরজাহান গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেড ও তাসমিন প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক ও নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসমিন মনোয়ার প্রকাশ, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও মেরিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের পরিচালক টিপু সুলতান, নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক জসিম উদ্দিন, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক ইফতেখার আল-জাবের ও মো. ফরহাদ মনোয়ার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে নুরজাহান গ্রুপের ছয়জনের পাসপোর্ট জব্দ ও বিদেশগমন প্রতিরোধের জন্য আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে নুরজাহান গ্রুপের ছয়জনের পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অর্থঋণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নুরজাহান গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে দায়ের করা ১৫-২০টি মামলায় একাধিক ব্যাংকের পাওনা চার হাজার কোটি টাকারও বেশি।

আদালত সূত্রে আরো জানা যায়, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রামের জুবলী রোড শাখার পক্ষ থেকে অর্থঋণ আদালতে গত বুধবার একটি আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ায় পর তারা পলাতক। এ ছাড়া তাদের বিদেশগমন প্রতিরোধ করার জন্য বা বিদেশ থেকে আগমনের সময় তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গতকাল আদালত এ নির্দেশ দেন।

অর্থঋণ আদালত আদেশে বলেছেন, দায়িকদের বিরুদ্ধে এ আদালতে ১৫ থেকে ২০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় ব্যাংকসমূহের দাবি (পাওনা) চার হাজার কোটি টাকার বেশি। জহির আহমেদরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সকল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আদেশের কপি পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পূর্বকোণ/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট