চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আরও এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ আগস্ট, ২০২২ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে আরও ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এসব কার্ড দিয়ে সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান টিসিবির কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে পারবেন কার্ড গ্রহীতারা। এতে নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তার চাপ কমার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষজন উপকৃত হবেন বলে টিসিবির ভাষ্য।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে নিত্য পণ্যের দাম লাগামহীন। রীতিমতো দামের রেকর্ড গড়েছে বেশ কিছু নিত্য পণ্য। যা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলছে। এই অবস্থায় এসব জনগোষ্ঠীর কষ্ট লাঘবে আরও ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে শৃঙ্খলা আনতে গত মার্চ-এপ্রিল থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে দেশে। সেই সময় চট্টগ্রামে সোয়া ৫ লাখসহ সারাদেশে ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়। ফলে টিসিবির নিত্য পণ্য বিক্রিতে পরিবর্তন আসে। ট্রাকে লাইন ধরে পণ্য বিক্রির পরিবর্তে এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কার্ড দেখে পণ্য বিক্রি শুরু হয়।

এখন নতুন করে আরও ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হলে টিসিবির পণ্য বিক্রি আরও জোরদার হবে। আরও বেশি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ টিসিবির পণ্যের আওতায় আসবেন। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে আবেদনকারীকে।

দেশে এখন লিটার প্রতি ১১০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করছে টিসিবি। বাজারে যা ১৮৫ টাকা। সেই হিসাবে এক লিটার সয়াবিন তেলেই গ্রাহকের সাশ্রয় হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া মশুর ডাল কেজিপ্রতি ৬৫ টাকায়, চিনি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় এবং পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে টিসিবির পক্ষ থেকে। যা বাজার মূল্যে চেয়ে কেজিতে ৬৫-২০ টাকা কম।

টিসিবির একজন কর্মকর্তা পূর্বকোণকে জানান, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বড় সমস্যা। স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার এখন টিসিবির মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। চিন্তাভাবনা চলছে কীভাবে সুবিধাভোগী পরিবারের সংখ্যা ২ কোটিতে নিয়ে যাওয়া যায়। অর্থ মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করছে। শিগগির নতুন ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার ঘোষণা আসবে।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট