গেল একদিনে হালিশহর-বন্দর-পতেঙ্গা ও তৎসন্নিহিত এলাকা থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বিশেষায়িত বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬০ জন। তারা সকলেই হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, নগরীর হালিশহর-বন্দর-পতেঙ্গা ও তৎসন্নিহিত এলাকাজুড়ে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রদুর্ভাবের কারণ খুঁজতে এবং আক্রান্ত রোগীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে চট্টগ্রামে এসেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক প্রতিনিধি দল সন্ধ্যায় ছয়টায় ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত বিআইটিআইডি হাসপাতালে এসে পৌঁছান। এসময় তাঁরা রাত দশটা পর্যন্ত ভর্তিরত রোগীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন।
অন্যদিকে, আজ শনিবার সকালে প্রতিনিধি দল ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব এলাকা হালিশহ ও পতেঙ্গায় সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। তারা সেখান থেকে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করবেন। পরবর্তীতে ঢাকায় গিয়ে এসব বিষয়ে তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশীদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৬০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। তারা সকলেই চিকিৎসাধীন আছেন। আর আইডিসিআর’র প্রতিনিধি দল চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করছেন। শনিবার ঘটনাস্থল এলাকাগুলোতেও তারা সরেজমিনে যাবেন।
এর আগে গত সোমবার থেকে আলোচ্য এলাকাজুড়ে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ার প্রদুর্ভাব দেখা দেয়। এসব এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বিআইটিআইডি হাসপাতালে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশের শরীরে কলেরার জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- ডায়রিয়ার সংক্রামক থাকলেও এখন পর্যন্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। কোন রোগীর পরিস্থিতি খারাপ নেই।
পূর্বকোণ/আর