চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আ. লীগ নেতা জিসানসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট, ২০২২ | ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল কাঁচাবাজার এলাকায় পুকুর ভরাটের সময় হাতেনাতে দুই শ্রমিককে পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মাটি কাটার শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হলেও আসল আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। পুকুর ভরাটে জড়িত থাকার অপরাধে চারজনকে আসামি করে গতকাল মঙ্গলবার হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, ছোটপুল কাঁচাবাজার আমিরুজ্জামান সরকার বাড়ির মৃত আবদুল মাবুদের ছেলে মো. জনি (৩৫) ও তার ছোটভাই মোহাম্মদ জিসান (৩০), নোয়াখালির সেনবাগের আবদুল গফুরের ছেলে মো. আকরাম (৩৮) ও নোয়াখালির সুধারাম থানার শান্তিরহাটের তাজুল ইসলামের ছেলে মো. সোহাগ (৩২)। এদের মধ্যে পুকুর ভরাটের সময় আকরাম ও সোহাগকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিসান হালিশহর থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদ ও গত ১৬ আগস্ট দৈনিক পূর্বকোণে ‘প্রকাশ্যে ভরাট চলছে সরকারিবাড়ি পুকুর” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল মঙ্গলবার অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। হালিশহর থানা পুলিশের সহায়তায় চালানো অভিযানের সময় পুকুর ভরাটকালে দুই শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আকরাম সোহাগ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মো. জনি ও মো. জিসানের নির্দেশে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, পুকুরটির প্রায় চার হাজার বর্গফুট ভরাট করা হয়েছে। পুকুরটি ভরাটের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিগত একমাস ধরে তারা পুকুরটি ভরাট করছে।

উল্লেখ্য সমবায় সিঙ্গাপুর মার্কেটের পেছনে অবস্থিত অর্ধশত বছরের পুরনো ‘সরকারবাড়ি’ পুকুরটি মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছিল। পুকুরের অর্ধেক অংশ জুড়ে বাশের পলিথিন দিয়ে বাঁশের ঘেরা হয়েছে। পুকুরের সাথেই সংযোগ রয়েছে মহেষখালের। যার কারণে জোয়ারের সময় বেড়ে যায় পুকুরের পানি।

স্থানীয় লোকজন জানান, পুকুরের চারপাশে কয়েক’শ নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করে। পুকুরটির এক অংশের মালিক আবদুর রহিম জিসানের পরিবার। মুলত তিনিই ভরাট করছেন। জিসান হালিশহর থানা আওয়ামীলীগের আহবায়ক।

সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জিসান প্রথমে বলেন, আসলে আমি জানি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। পরক্ষণে বলেন, আমরা পুকুর ভরাট করছি না। সামনে দোকান রয়েছে। দেয়াল দেয়ার জন্য ওখানে কিছু মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এটা আগে থেকেই ভরাট করা আছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।

পুকুরের একটি অংশের মালিক সাইফুল আলম বলেন, প্রায় ৪০ শতাংশের এ পুকুরটির অর্ধেক অংশ ভরাট করা হচ্ছে বালি দিয়ে। পুকুরের পাশেই সমবায় সিঙ্গাপুর মার্কেট। চারপাশে রয়েছে বসতবাড়ি। পাঁচ বছর আগে ওই এলাকায় একবার আগুন ধরেছিল। তখন ওই পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়েছিল।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট