চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘সড়কের ভাঙন, সারবে কখন ?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ আগস্ট, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকার বাসিন্দা দিদার। কাজ করেন কেইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায়। কাজের সুবাদে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা তাকে যাতায়াত করতে হয় বন্দরটিলা থেকে স্টিল মিলের কেইপিজেডের গেট পর্যন্ত। প্রায় তিন কিলোমিটার দুরত্বের এই পথ দিদার অতিক্রম করেন বাস, ত্রিহুইলার কিংবা রাইডারে চড়ে। কিন্তু মাত্র তিন কিলোমিটারের এই পথ অতিক্রম করতে প্রতিদিন আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় হয় বলে জানান দিদার। রাস্তা ভাঙা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও রাস্তা দখল করে হকার বসার কারণে গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, সড়কে সৃষ্ট হওয়া গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল হওয়া থেকে শুরু করে উল্টে যায়। দূর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। এসময় এ সড়কের ভাঙন কখন সারবে জানতে চান পোশাক শ্রমিক দিদার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিহুইলারে করে বাসায় যাওয়ার পথে প্রতিবেদককে এ প্রশ্ন করেন দিদার।
সড়ক নিয়ে পোশাক কর্মী দিদারের করা এ মন্তব্যের হুবহু মিল পাওয়া যায় সরেজমিনে। দেখা যায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে পতেঙ্গা থানাধীন কাটগড় পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে টিনের বেড়া দিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে সংকুচিত হয়ে গেছে সড়ক। আর এ টিনের দুপাশ জুড়ে থাকা বাকি সড়কে সৃষ্ট হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। যে গর্তে পড়ে বিকল হয়ে পড়ছে যানবহন। গর্ত এড়াতে ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে চালকদের। শুধু তাই নয়, টিন দেয়া ঘেরার পর সড়কের যে অংশটুকু খালি আছে তাও দোকান বসিয়ে দখল করে রেখেছে হকাররা। সড়ক সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় সিঙ্গেল লাইনে গাড়ি চালাতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। এতে সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
পোশাক শ্রমিক দিদারের সড়ক নিয়ে করা প্রশ্নটির উত্তর জানতে চাইলে ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জয়নাল আবেদীন পূর্বকোণকে বলেন, ‘রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাটগড় পর্যন্ত রাস্তার মধ্যভাগে টিনের বেড়া দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ম্যাক্স। যতদিন এই সড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলবে ততদিন পর্যন্ত এ সড়কের মেরামতের দায়ভার সিডিএর।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, ‘নির্মাণের কাজের জন্য এ রাস্তা ভাঙেনি। বৃষ্টির কারণে ভেঙেছে। তবুও আমরা রাস্তাটি মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বেশ কয়েক বার ইটের সুড়কি ফেলেছি। এতে কোনো লাভ হয় না। বৃষ্টি পড়লে আবার রাস্তা ভেঙে যায়। বৃষ্টির কারণে পুরোপুরিভাবে রাস্তার সংস্কার কাজ করতে পারছি না। ঈদের পর বৃষ্টি থামলে যত দ্রুত সম্ভব সড়কে কার্পেটিং করা হবে বলে জানান তিনি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট