চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে ৮ বছর কারাভোগ, অবশেষে কক্সবাজারে ফিরলেন ৫ যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ আগস্ট, ২০২২ | ৪:১৮ অপরাহ্ণ

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৮ বছর আগে ৬ যুবককে কলকাতায় নেয় মানব পাচারকারীরা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাদের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশের দায়ে এরপর থেকেই কারাবন্দী ছিলেন তারা। সেখানেই বছর তিনেক আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান তাদের একজন। বাকিরা কারাভোগ শেষে নিজভূমি কক্সবাজারের রামুতে ফিরে এসেছেন।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পালস বাংলাদেশ’-এর সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের।

 

দেশে ফেরত ৫ জন হলেন- উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার শফিউল আলম, আবদুল হামিদ, দক্ষিণ পাড়ার সোহেল রানা, পূর্ব তিতারপাড়ার নুরুল আজিম ও টেকপাড়ার মুহাম্মদ ইসমাঈল। তাদের সঙ্গে ভারতে যাওয়া মনজুর আলম নামে একজন বছর তিনেক আগে অসুস্থ হয়ে কারাগারে মারা যান।

স্বজনদের কাছে ফিরতে পেরে নুরুল আজিম বলেন, ভারতে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দালালচক্র আমাদের ছয়জনকে পাচার করেছিল। সেই দালালদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

কারামুক্ত আরেকজন শফিউল আলম বলেন, প্রায় আট বছর আমরা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিলাম।

 

পালস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বছরখানেক আগে আমরা জানতে পারি রামুর ছয়জন যুবক ভারতের কারাগারে বন্দী আছেন। তারা মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়েছিলেন। তাঁদের মুক্ত করতে পরিবারের সদস্যরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। কিন্তু নানা জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঁচ যুবককে কারামুক্ত করে রামুতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

কারামুক্ত পাঁচ যুবক কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন পালস বাংলাদেশ কার্যালয়ে পৌঁছালে স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরে আসা পাঁচ যুবককে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক তরিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) নাসিম আহমেদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম।

 

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ

শেয়ার করুন