চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২০ আগস্টের মধ্যে আলীনগর পাহাড়ের অবৈধ বাসিন্দাদের সরতে হবে

সৌমিত্র চক্রবর্তী

১১ আগস্ট, ২০২২ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আলীনগর পাহাড় থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে টানা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এরই মধ্যে গতকাল বুধবার এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে আলীনগরের সকল অবৈধ বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরে যাবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আলীনগর না ছাড়লে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

 

এর আগে গত সোমবার ঐ পাহাড়ের চার শতাধিক পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদিকে আলীনগরে প্রশাসনের তৎপরতা বন্ধে মরিয়া হয়েছে নেমেছে সন্ত্রাসী ইয়াছিনের দলবলও। তারাও প্রশাসনকে ঠেকাতে নানান অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরের পাহাড়, টিলা, বনভূমি এবং এখানকার পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষাকল্পে মহামান্য হাইকোর্ট গত ৭ আগস্ট এক নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সেখানে পাহাড়-টিলা দখল করে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সব স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বৈধ জমির মালিকদের মালিকানা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে সেখানে খাস জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে এবং বৈধ ভূমির মালিকদের ২০ আগস্টের মধ্যে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যারা অবৈধ উপায়ে সেখানে পাহাড়-টিলা দখল করে কেটে বসত ঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন তাদেরকে ঐ সময়ের মধ্যে অবশ্যই এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, আলীনগর থেকে সকল অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা হবে। তাদেরকে নিজ থেকে সরে যেতে সময় দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আলীনগরের সন্ত্রাসী ইয়াছিন ১৭’শ একরের মতো সরকারি খাস জায়গা দখল করে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান স্যারের নির্দেশে আমরা এ সব বাণিজ্য বন্ধে টানা অভিযান পরিচালনা করছি। সব শেষ সোমবার আমরা সেখানে কমপক্ষে ৪’শ পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। সনাক্ত করি অন্তত ৫৭ একর খাস জমি। এছাড়াও নানামুখী কাজ চলছে। আলীনগর ও জঙ্গল সলিমপুরে ৬ হাজার প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য তালিকা করা হচ্ছে।

এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী ইয়াছিন বাহিনী মরিয়া হয়ে নেমেছে আমাদের ঠেকাতে। তারা এলাকার শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, আমাদের স্থাপন করা সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে, লাগাতার হুমকি ও নানা মহলের তদবির দিয়ে প্রশাসনের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থগিত করতে চায়। কিন্তু আমাদের জেলা প্রশাসক স্যার কঠোর অবস্থানে আছে। আমরা তার নির্দেশনা মেনে সেখান থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে টানা কাজ করছি।

 

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট