চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ক্রেতা বাড়ছে পশুর হাটে

মফস্বল ডেস্ক

৬ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আর কয়েকদিন পরই ঈদুল আযহা। কুরবানির পশুর হাটে গরু-ছাগল-মহিষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ক্রেতার সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।
কর্ণফুলী: নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, উপজেলার মইজ্জারটেক সিডিএ আবাসিক মাঠের কুরবানির পশুর হাট গরু-ছাগল-মহিষে ঠাসা। মানুষের ভিড়ও উপচেপড়া। তবে সে তুলনায় নেই কেনাবেচা। ক্রেতারা বাজারে ঘুরে কুরবানির পশু দেখছেন। বুঝে নিচ্ছেন দাম-দরের অবস্থা। ৪ আগস্ট বিকেলে এমনই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের প্রত্যাশা ঘুরেফিরে দেখার পর্ব শেষে দুই একদিনের মধ্যে শুরু হবে বেচাকেনা। বাজার জমে উঠার অপেক্ষায় বিক্রেতারা।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও শহরের সংযোগ স্থল কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক সিডিএ আবাসিক মাঠের বিশাল এলাকা নিয়ে বসেছে মইজ্জারটেক পশুবাজার। ফলে শহর ও গ্রামের ক্রেতা-বিক্রেতার বিপুল সমাগম হবে। ফোর লেনের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় যানজটমুক্তভাবে যাতায়াত করা যাবে। প্রতিদিন রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গবাদিপশুর সরবরাহ অন্যবারের তুলনায় বেশি। এসব হাটগুলোতে বেশিরভাগ দেশি গরু বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার খামার ও কৃষকের বাড়িতে লালিত-পালিত গরুর আধিক্য দেখা গেছে পশুর হাটে। পেশাদার ব্যবসায়ী ও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক চাষী এবং গৃহস্থ সরাসরি গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। এরপরও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে আসছে গরু-মহিষ। এখনো পর্যন্ত বেচাকেনা জমে না উঠলেও বিক্রেতাদের প্রত্যাশা আজ-কালের মধ্যে পুরোদমে বাজার জমজমাট হয়ে উঠবে। শহরাঞ্চলে জমজমাট বেচাকেনা কোরবানের দুই একদিন আগে হলেও গ্রামে ভিন্নচিত্র। গ্রামের মানুষ বেশ আগে কোরবানির পশু কেনা শুরু করেন।
ব্যবসায়ী আলী আকবর খান জানান, বাজারে দেশের ২৭ জেলা থেকে ছোটবড় প্রচুর গরু-মহিষ এনেছি। গরু আসা এখনও অব্যাহত আছে। এই অঞ্চলের লোকজন একাধিক গরু কুরবানি দেন। অনেকে আত্মীয় স্বজনদের মাঝেও কুরবানির গরু বিলি করেন। ফলে এখানে গরুর চাহিদা বেশি থাকে। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আমির আলী অভিযোগ করেছেন, আসার সময় পথে পথে পশুর গাড়ি থামিয়ে চাঁদা নিচ্ছে কিছু পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় মাস্তানরা।
নগরীর জামালখান থেকে পশু কিনতে আসা আবদুল হালিম বলেন, মূল সড়কের পাশে বাজার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় গরু কিনতে চলে আসলাম। দাম মোটামুটি হাতের নাগালে আছে। মইজ্জারটেক বাজারের ইজারাদার সোলায়মান তালুকদার জানান, ক্রেতা-বিক্রেতা যেন বৃষ্টি-রোদ থেকে রক্ষা পায় সেজন্য পুরো বাজার ত্রিপল দিয়ে প্যান্ডেল করে ঢেকে ফেলা হয়েছে। হাঁটাচলার জন্য তৈরি করা হয়েছে পাকা রাস্তা। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে কেউ যেন প্রতারিত না হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য পুরো বাজার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও রাখা হয়েছে এ বাজারে। জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর মাহমুদ দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, এমনিতে মইজ্জারটেক মোড় ও চেকপোস্টে আমাদের দুটি টিম সার্বক্ষণিক থাকে। এছাড়াও বাজারে পুলিশের বুথ থাকবে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট