চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাজস্ব আদায়ে নতুন রেকর্ড

মিজানুর রহমান

২২ জুলাই, ২০২২ | ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আদায় করেছে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট। সদ্য বিদায়ী এই অর্থবছরে ১০৯০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যা চট্টগ্রামে এক অর্থবছরে ভ্যাট আদায়ে রেকর্ড বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে ১৮-১৯ অর্থবছরে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১০৩৮২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়। চট্টগ্রামে গত ১২ অর্থবছরের ভ্যাট আদায়ের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী- বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ২০-২১ অর্থবছরে ৯৪৩৯ কোটি, ১৯-২০ অর্থবছরে ৮৮৬৬ কোটি, ১৮-১৯ অর্থবছরে ১০৩৮২ কোটি, ১৭-১৮ অর্থবছরে ৮৫৩২ কোটি এবং ১৬-১৭ অর্থবছরে ৭০৮৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়। এছাড়া ১৫-১৬ অর্থবছরে ৭২৬৭ কোটি, ১৪-১৫ অর্থবছরে ৫১৩২ কোটি, ১৩-১৪ অর্থবছরে ৫০৪৪ কোটি, ১২-১৩ অর্থবছরে ৫৫০৬ কোটি, ১১-১২ অর্থবছরে ৩৮৭৫ কোটি এবং ১০-১১ অর্থবছরে ৩৩৬০ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয় চট্টগ্রামে।

ভ্যাট আদায়ের তুলনামূলক চিত্র : ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ হাজার ৪৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় করে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট। আর সদ্য বিদায়ী ২১-২২ অর্থবছরে ভ্যাট আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৯০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৫৬ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে জুন-২২ এ। এই মাসে ১৬৭৬.৮৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়।

সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের মধ্যে জুলাই-২১ এ ৬৫৪.৭৫ কোটি, আগস্ট-২১ এ ৬৭৮.৬০ কোটি, সেপ্টেম্বর-২১ এ ৬৯৩ কোটি, অক্টোবর-২১ এ ৬৩৫.৬২ কোটি, নভেম্বর-২১ এ ৮৮২.২৭ কোটি এবং ডিসেম্বর-২১ এ ৮৮৭.৪৩ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়। এছাড়া জানুয়ারি-২২ এ ৯৬৮.৬৩ কোটি, ফেব্রুয়ারি-২২ এ ৮৫৩.৫০ কোটি, মার্চ-২২ এ ৮৮১.৭১ কোটি, এপ্রিল-২২ এ ৯২৪.৭৯ কোটি মে-২২ এ ১১৭১.৪৫ কোটি এবং জুন-২২ এ ১৬৭৬.৮৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়।

যে কারণে রেকর্ড রাজস্ব আদায় : করোনা পরবর্তী রাজস্ব আদায় বাড়াতে ২০২১-২২ অর্থবছরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন চট্টগ্রামের ভ্যাট কর্মকর্তারা। ইএফডি মেশিন স্থাপন, ভ্যাট মেলা, শপিং মলগুলোতে ভ্যাট বুথ, খোলা জায়গায় ভ্যাট স্ট্যান্ড বসিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানো, ভ্যাট আদায়ে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়। এছাড়া বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অডিট করে বিপুল ভ্যাট আদায় করা হয়। প্রিভেনটিভ ডিউটির মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানকে ধরা হয়। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভ্যাট আদায়ে।

এই কৃতিত্ব সবার : ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, ভ্যাট আদায় বাড়াতে আমরা টার্গেট নিয়ে কাজ করেছি। যার সুফল পাওয়া গেছে। রেকর্ড ভ্যাট আদায়ের এই কৃতিত্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো। স্টেকহোল্ডাররা সহায়তা করেছেন। আমাদের কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও নিরলস প্রচেষ্টা এবং ভ্যাটদাতাদের সহযোগিতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট