চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দাম থাকবে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা

ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বাজারে আনছে খামারিরা

চন্দনাইশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ

৪ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে গো-খাদ্যের দাম বাড়লেও গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চন্দনাইশের খামার মালিকরা। প্রায় খামারেই দেশি ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এসব গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার কাছাকাছি থাকবে বলে জানান তারা।
এদিকে, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি গরুর পেছনে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সম্প্রতি বন্যায় চন্দনাইশের ১৫০ একর চারণভূমি, ১২৫ একর নেপিয়ার, পাকচন, জার্মান পাড়া পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় গো খাদ্য সংকটে পড়েছে খামারিরা।
উপজেলা সদরে রাজিব দেব নাথের ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, খামারে একশটির অধিক গরু রয়েছে। গরু পরিচর্যায় কাজ করছে ৫ জন শ্রমিক। এসব দেশি জাতের গরু স্থানীয় বাজার থেকে কয়েকমাস আগে ক্রয় করা হয়েছে। রাজিবের ফার্মে দুধের জন্য রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান গাভী।
খামার মালিক রাজিব জানান, কয়েক বছর আগে তার পিতা রঞ্জিত দেবনাথের সহযোগিতায় ও মাতার উৎসাহে সে এ খামারটি করেছিল। এ কয়েক বছরে দুধ ও গরু বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছে রাজিব। তিনি বলেন, গত বছর ৫০টি দেশি গরু বাজারে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিটি গরুতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে লাভ হয়েছিল। পরের দিকে তেমন লাভ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে গরু পালন। কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে কিছুটা লাভবান হওয়ার আশায় খামারিরা দু-একটি করে গরু পালন করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রমতে, গত বছর অনেক খামার মালিক গরু বিক্রি করে কিছুটা লোকসানে পড়ে। এ কারণে এবার উপজেলায় গরুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। খামারিদের গরু পালন ও বর্ষায় যাতে রোগবালাই না হয়, সেজন্য প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খামারিরা যাতে গরু মোটাতাজা করতে গিয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন না করেন, সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। মাঠকর্মীরা বিষয়টি প্রতিনিয়ত মনিটর করছেন বলে জানিয়েছে বিভাগটি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট