চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আফেল আহমদের টেক যেন মৃত্যুফাঁদ

বোয়ালখালী

সেকান্দর আলম বাবর, বোয়ালখালী

৪ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছরের গত ২৭ জুলাই ভোররাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া খরণদ্বীপের আবু মোহাম্মদ (৫৮) কে বহন করে বোয়ালখালী থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন নাম্বারবিহীন সিএনজিচালিত ট্যাক্সি। চোখে ঘুম আর বিষণœতা ছিলো চালকের। আরাকান সড়কের আফেল আহমদের টেক এলাকায় আসতেই তার অসতর্কতার জন্য ওইস্থানে রিটেইনিং ওয়ালের জন্য খুঁড়ে রাখা ভাঙা অংশে গিয়ে পড়ে ট্যাক্সিটি। উল্টে যাওয়ার আগেই ট্যাক্সিটি আটকে যায় কিছু অংশে করা রিটেইনিং ওয়ালের সাথে। এ যাত্রায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় রোগী, দুই যাত্রী ও চালক। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয় তাদের চারজনকেই। এ রকম গত এক বছর ধরে এ স্থানটি কাজের নামে খুঁড়ে রাখাতে হরহামেশাই ঘটছে ছোটখাট ঘটনা। দৈনিক ঝুঁকি নিয়ে চলছে এ সড়ক ব্যবহারকারী কয়েক সহস্রাধিক যানবাহন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মৃত্যুফাঁদ তৈরি হয়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই !
সরেজমিনে দেখা যায়, আরাকান সড়কের পশ্চিম গোমদ-ী আফেল আহমদের টেক এলাকায় সড়কের দক্ষিণ পাশে খালের ভাঙন থেকে সড়ককে রক্ষা করতে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য খোঁড়া হয়েছে প্রায় ১শ মিটার। তাও আবার গত বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে। পুরো একবছর কাজের অগ্রগতি ৫০ ফুটের মতো রিটেইনিং ওয়াল। আশপাশের কয়েকশ গজের মধ্যে প্যারাসাইডিংয়ের কিছু কাজ হয়েছে, তাও অসমাপ্ত। বাকিটা পড়ে রয়েছে অযতেœ অবহেলায়। এতে সড়ক সংকীর্ণ হওয়াতে সময়ে সময়ে লেগে যাচ্ছে যানজট। নষ্ট হচ্ছে শ্রমঘণ্টা। অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ঘটছে দুর্ঘটনা। সওজ ওইস্থানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে আর হলুদ কয়েকটি প্লাাস্টিকের ডিভাইডার বসিয়ে তাদের দায়িত্ব সেরেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোয়ালখালীর কালুরঘাট হতে পটিয়া মনসার টেক পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে রিটেইনিং ওয়াল, প্যারাসাইডিং এবং সড়কের খানাখন্দ সংস্কারে ওভারলিংক বাবদ গত বছর টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ হয় ১৪ কোটি টাকা। কাজটির দায়িত্ব পায় ম্যাক কন্সট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা যথারীতি কাজও আরম্ভ করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় তাদের কাজ। এতে ঝুলে থাকে সড়ক সংস্কারের কাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালখালী অংশের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী টোয়েন চাকমা পূর্বকোণকে বলেন, ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। গত একবছরে ৫ ভাগ কাজও শেষ হয়নি। তাদের বারবার সতর্ক করার পরও কিছুই হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। ইতোমধ্যে তাদের বিল আটকানো হয়েছে। তিনি এ অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট