চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

লামায় সরকারি ‘শতবর্ষী’ গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

লামা সংবাদদাতা

১৩ জুন, ২০২২ | ৪:২৮ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের লামার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সরকারি ১৬টি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। পঞ্চাশ থেকে শতবর্ষী এই গাছগুলোর মধ্যে ১০টি কড়ই গাছসহ বিভিন্ন জাতের রয়েছে।

লামা বন বিভাগ জানায়, তারা বন বিভাগ থেকে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেননি।

লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন উপপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান জানায়, ঝড়ে পড়া বেশি বয়সি গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছগুলো থাকলে ফলজ বাগান নষ্ট হচ্ছে। তাই, বাগানের ১০টি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

গাছ কাটার সরকারি নিয়ম মানা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান বলেন, গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, তাই শতভাগ আইন মানা হয়নি। তবে, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শনিবার লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপপরিচালক কার্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের পিছনে পশ্চিম ও দক্ষিণের পাহাড় থেকে দশজন শ্রমিক মিলে গাছ কাটছে। এছাড়া কেটে ফেলা গাছ গুলো কেটে বিভিন্ন সাইজ করছে শ্রমিকরা।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাছ গুলো ঝরে পড়া গাছ নয়। তাদেরকে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে, তাই তারা গাছ গুলো কাটছে।

লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামাল উদ্দিন জানান, গাছগুলো আমি লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান স্যারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি।

লামা পরিবেশ রক্ষা পরিষদের সভাপতি এম রুহুল আমিন জানিয়েছেন, গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। প্রতিটি গাছ নিলাম দিলে গাছের মূল অংশ ছাড়া শুধু লাকড়ি বিক্রি করলেও ৪০ হাজার টাকার লাকড়ি বিক্রি করতে পারবে। বিএডিসির কর্তৃপক্ষ গাছগুলো বিক্রি করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছেন। এছাড়া গাছগুলো সঠিক ভাবে নিলামে দিলে সরকার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার অধিক রাজস্ব পেত।

লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র গাছ কাটার বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে, তারা বন বিভাগ থেকে গাছ কাটার কোনো অনুমতি নেননি।

বিএডিসি’র উপপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান আরও জানান, গাছগুলো কাটার বিষয়ে অফিসিয়াল কাগজপত্র জুন মাস শেষে আমরা দিতে পারবো। তবে এখন দিতে পারবো না বলে মুঠোফোনটি কেটে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, বিষয়টি এখন জানলাম। বিএডিসি উপপরিচালকের সাথে কথা বলবো। আপনারাও বিষয়টি ঊনার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)এর সচিব মো. আশরাফুজ্জামানের মুঠোফোনে এ অনেকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট