চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ডিপোর আশপাশের মানুষও ভুগছেন স্বাস্থ্য জটিলতায়

১০ জুন, ২০২২ | ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

ইমাম হোসাইন রাজু

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিদুর্ঘটনা ও বিস্ফোরণে সেদিন বিভিন্ন ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হন আশাপাশের মানুষ। এর মধ্যে শারীরিক ক্ষতি উল্লেখ্যযোগ্য। স্থানীয়রা জানান, অগ্নিদগ্ধদের মতোই বিস্ফোরণের পর থেকে চোখ জ্বালাপোড়া, মুখ ফুলে যাওয়া এবং কাশির মতো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তারা। তবে ঠিক কতজন শারীরিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হননি কোন সংস্থাই। কিংবা এর মূল্যায়নও করা হয়নি। এবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিদুর্ঘটনায় এখন জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কেমন বিদ্যমান ওই এলাকাজুড়ে কিংবা ভবিষ্যতে রাসায়নিক এ দুর্ঘটনার কারণে কী ধরণের জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে? এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে এবার সীতাকুণ্ডে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের এ টিম সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করবেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল বিএম কন্টেইনার ডিপোতে নমুনাও সংগ্রহ করবেন বিশেষজ্ঞদের এ দল।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিএম কন্টেইনার ডিপোর হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের ক্যামিক্যালের কারণে ইতোমধ্যে আহতদের চোখসহ নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশপাশের এলাকাতেও জনস্বাস্থ্যের হুমকি দেখা দেয়ার শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু সেটি কী পরিমাণ হতে পারে কিংবা ভবিষ্যতে তার কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে কি-না, খুঁটিনাটি এসব বিষয় খুঁজবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দল। পাশাপাশি বিসিআইসি থেকে আসা ক্যামিস্টরা সেখান থেকে বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহণ করবেন বলে জানায় সূত্র।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক দুর্ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আলোচ্য দুর্ঘটনাজনিত জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল সীতাকুণ্ড যাবেন। পাশাপাশি তারা চমেক হাসপাতাল এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও যাবেন। সেখানে ভর্তিরত রোগী এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের মানুষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
উচ্চ পর্যায়ের টিমের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক ডা. মাহী উদ্দিন আহমেদ, ইভালুয়েটর ডা. ফাবলিনা নওশিন, ডাটা ম্যানেজার মো. রাকিবুল ইসলাম, বিসিআইসির ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি এন্ড হেলথ বিভাগের কেমিস্ট মো. জিয়াউল হক ও ডেপুটি চিফ মো. হুমায়ুন কবীর।

পূর্বকোণ/এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট