৫ জুন, ২০২২ | ৬:০২ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিষ্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত জনে। এর আগে পাঁচ জন নিহতের কথা জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সর্বশেষ দুই জনের মরদেহ রাত সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সাত জন নিহত হওয়ার তথ্য গণমাধ্যককে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত সাত জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ অবস্থায় শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এদিকে ৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন। পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৫টায় বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার।
তিনি বলেন, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ৭-৮ টি কনটেইনারে বিস্ফোরণে হয়ে আবার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কনটেইনারে কেমিক্যাল ছিল। সেই কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা এখনও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কী ধরনের কেমিক্যাল ছিল তা জানতে পারিনি।
ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ডিপো এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। সেখানে একটি পুকুর থেকে পানি আনা হয়েছিল, সেই পানিও শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের নয়টি স্টেশনের ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করছে। আমাদের অনেক সদস্য আহত হয়েছে।
এদিকে বিষ্ফোরণের ঘটনায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানুষ দগ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভেঙে গেছে গ্লাসও।
পূর্বকোণ/মামুন