চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবের বক্তব্যের ‘সত্যতা’ মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ জুন, ২০২২ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর আচরণবিধি পরিপন্থী বক্তব্যের সত্যতা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের শঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্বকোণকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি। কমিশন যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
গত ২৮ মে (শনিবার) বাংলাবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, মুজিবুল হক বক্তব্যে বলেন, সরকার ইভিএম একটা করেছেন। না হলে রাতেই ভোট নিয়ে ফেলতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। ছাপ দিতে না পারলে ছাপ দেওয়ার জন্য সেখানে আমি মানুষ রাখব।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না। সব ভোট আমিই মেরে দিতাম।’ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর এই বেফাঁস বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও পৃথক তদন্ত করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়ে তদন্ত করেন। গত ১ জুন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী একটি বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী প্রকৃতপক্ষে তার নিজ জবানিতে নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী বক্তব্য দিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এতে ভোটার ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সর্ম্পকে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ আপাতদৃষ্টিতে সত্য প্রতীয়মান হওয়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন রিটার্নিং অফিসার।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম পূর্বকোণকে বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে প্রদান করা হয়েছে।’ তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো কথা বলতে নারাজ তিনি।

পূর্বকোণ/এস 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট