চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে অভিযানে বন্ধ হল আরও তিন হাসপাতাল-ল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মে, ২০২২ | ১১:৪৪ অপরাহ্ণ

টেকনোলজিস্ট ছাড়াই চলছে প্যাথলজি কার্যক্রম, নেই রেডিওলজিস্ট। তবুও দীর্ঘদিন ধরেই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে নগরীর বড়পোল মোড়ের দুইটি ল্যাব। নেই নিবন্ধনও, কার্যক্রম চলছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে কার্যক্রম বন্ধ করা হয় এ দুই ল্যাব।  রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে এ দুটি ল্যাব ছাড়াও আরও একটি হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধ করা হয়। সবমিলিয়ে এ দিন নগরীতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে মোট তিনটি হাসপাতাল-ল্যাবের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিবন্ধন ছাড়া কার্যক্রম চালানো এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া নীতিমালা না মানায় এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের অভিযানে তিনটি হাসপাতাল, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। যার প্রেক্ষিতে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। এমন অভিযান অব্যহত থাকবে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর পাঠানটুলী এলাকার মিডপয়েন্ট হসপিটাল এন্ড মেটারনেটি সেন্টার লিমিটেডে হাসপাতালটিতে লেবার রুমের লেবার টেবিল মানসম্মত নয়। প্রয়োজনীয় সংখ্যাক ডিপ্লোমাধারী নার্স পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের অন্যান্য কক্ষগুলো পরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিয়োগ পত্র পাওয়া যায়নি। যার কারণে হাসপাতালের সমস্যা সমাধানের নির্দেশের পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হাসপাতালে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র প্রদান করে নতুন রোগী ভর্তির কার্যক্রমও বন্ধ রাখতে বলা হয়।

এছাড়া আগ্রাবাদের বড়পোল মোড়ের হাই-টেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোন মূল্য তালিকা পাওয়া যায়নি। এমটি ল্যাব বা টেকনোলজিস্ট এবং এমটি রেডিওলজিস্ট ছাড়াই কার্যক্রম চলছে। এছাড়া এক্সে-রে রুমে কোন লীড সিট পাওয়া যায়নি। মৌখিকভাবে সমস্যাগুলো নিরসনের জন্য নির্দেশ প্রদান এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

অন্যদিকে, একই এলাকার কোয়েস্ট মেডিকেল সার্ভিস এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের কোন আবেদন পত্র পাওয়া যায়নি। কোন মূল্য তালিকা নেই। ল্যাবটিতেও এমটি রেডিওলজিস্ট, এমটি ল্যাব টেকনোলজিস্ট ছাড়াই কার্যক্রম চলছে। এছাড়া অপরিচ্ছন্নভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে দেখা যায়। যার কারণে সমস্যা সমাধানের পাশপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবারও নগরীতে ৬টি হাসপাতাল ল্যাবে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম। অভিযানে নানা অসঙ্গতির প্রমান পাওয়ায় চারটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সিভিল সার্জন। ওইসব ল্যাবগুলোর বিরুদ্ধেও ছাড়পত্র-লাইসেন্স ছাড়াই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া বাকি দুই প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয় অভিযানে।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট