কালুরঘাট ব্রিজের দুঃখ মনে হয় যাবে না। শ্রক্রবার (২৭ মে) বিকেলে রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর আসার কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। শুক্রবার গ্রামে আসা যাত্রীদের ফিরতে পোহাতে হয় বিড়ম্বনা। রাত আটটার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসলে ৯টার দিকে ঘটে আবারো বিপর্যয়। দোহাজারী থেকে চট্টগ্রামমুখী ফার্নেস অয়েল বহনকারী খালি ওয়াগন কালুরঘাট ব্রিজের মাঝপথে লাইনচ্যুত হয়। এতে ওয়াগনের পিছনের ইঞ্জিন-বডি একেবারে লাইন থেকে সড়ে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনার পর ব্রিজের দু পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। তাদের পায়ে হেঁটে ব্রিজ পার হতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর একটি মার্কেটের সেলসম্যান বোয়ালখালী থেকে দৈনিক শহরের যাত্রী কোরবান আলী সুমন, বেসরকারি একটি অফিসের কর্মকর্তা মাশফিক সতেজ উভয়ে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ১০টার পর শুধু রেলিংয়ে রং করার জন্য ব্রিজ বন্ধ করা হলো। আজ সোয়া দশটায় দেখি একই অবস্থা। আসলে আমাদের কেন এত দুঃখ বুঝলাম না।
তিনি বলেন, একই ওয়াগন ট্রেনটি প্রায় ৬ মাস আগে একইভাবে ব্রিজে লাইনচ্যুত হয়েছিল, আবারো হলো। ওই সময় কারণ খতিয়ে ব্যাবস্থা নিলে আজকের ঘটনা ঘটতো না।
জানতে চাইলে কালুরঘাট টোল অফিসের ম্যানেজার সেলিম জাহাঙ্গীর পূর্বকোণকে জানান, বিকেলের যাত্রীদের দুর্ভোগ শেষ না হতেই আরেকটি দুর্ভোগ। এটি রেল ব্যবস্থাপনার ত্রুটি।
তিনি বলেন, রাত ৯টার পর থেকে এখন ১১টা, ট্রেনটি উদ্ধারের কোনো লক্ষণ দেখছি না। আরো ২ ঘণ্টা লাগতে পারে এটি সরিয়ে নিতে।
পূর্বকোণ/বাবর/মামুন/পারভেজ