চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতুতে দেখানো বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মে, ২০২২ | ৮:৪১ অপরাহ্ণ

পদ্মা সেতুতে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়? আমরা জানি কোথায় গেছে। এগুলো সব বের হবে। শুক্রবার (২৭ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও হত্যার হুমকি’র প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘পদ্মা ব্রিজ থেকে নাকি খালেদা জিয়াকে ফেলে দেবে। মনে হয় বাপের টাকা দিয়ে ব্রিজ করেছে, এখানে কেউ উঠলে তাদের ফেলে দেব। আরে টাকাটা কার? ১০ হাজার কোটি টাকার ব্রিজ ৪০ হাজার কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেছে। বড় বড় কথা বলার আগে উত্তর দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কোথায় গেছে। এগুলো সব বের হবে। দুবাইয়ের কোন অ্যাকাউন্টে গেছে, আমেরিকার কোন অ্যাকাউন্টে গেছে, কোন অ্যাকাউন্টে মালয়েশিয়ায় গেছে, সব জানি। কোন অ্যাকাউন্টে কানাডায় গেছে, কয়টা বাড়ি করা হয়েছে, সব জানি। কতগুলো প্রপার্টি কিনেছেন সব বের হবে।

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে শেখ হাসিনা ভয় পায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নাকি ঠুস করে ফেলে দেবে। এর অনেকগুলো কারণ হতে পারে। একটি হলো খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয়। যিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের পতন ঘটিয়েছেন। কিন্তু আপনি সেই এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। খালেদা জিয়া যখন সড়কে বের হবেন, তখন লাখ লাখ মানুষ সমবেত হবে। সেটিকে আপনি ভয় পান। কারণ আপনি যখন সমাবেশ করতে যান, তখন পয়সা দিয়ে লোক আনলেও থাকতে চায় না।’

সত্যিকার আওয়ামী লীগ নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি করে খসরু বলেন, ‘আমরা আর বাড়ি ফিরে যাব না। ওদের মধ্যে কম্পন শুরু হয়েছে। ওরা কিন্তু পুলিশকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। কিন্তু পুলিশ তো বোকা নয়। পুলিশ তো দেশের মানুষ। তার পরিবার আছে। তারা কি বুঝে না দেশের মানুষ কি চায়? বুকে সাহস রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যখনই বিপদ আসবে তখন দেখবেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ চালায় এখন সন্ত্রাসীরা। যারা সত্যিকারের আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট