চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতি পদে লড়বেন ৭ প্রার্থী

২৬ মে, ২০২২ | ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

ইমরান বিন ছবুর 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে প্রতিযোগী থাকবে সাতজনের বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৮৮১ জন। তবে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন ৪ হাজার ৬৪৩ জন প্রার্থী। বাকি ২৩৮ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ে কোনো কাগজপত্র চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেননি বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলায় সহকারী শিক্ষক পদে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ৬৩৯টি। সে হিসেবে এবার মৌখিক পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে প্রতিযোগী রয়েছেন সাতজনের বেশি। তবে শূন্য পদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এছাড়া, অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। 
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, সরকারি প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় যেসব প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সনদ, অনলাইন আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২৩ মে’র মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ২৩ মে’র মধ্যে এসব কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না। ২৩ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৪ হাজার ৬৪৩ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রাপ্ত আবেদনগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে কোনো ত্রুটি আছে কিনা আমরা তা দেখছি। এরপর অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা পেলেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে। 
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের নগরী ও উপজেলায় ২১টি শিক্ষা থানায় শূন্য পদ রয়েছে ৬৩৯টি। তবে প্রতিদিনই নতুন করে শূন্য পদ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অধিদপ্তর চাইলে নতুন করে শূন্য পদ সৃষ্টি করতে পারেন। সে হিসেবে শূন্য পদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র কখন ও কিভাবে ইস্যু করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিকের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশনা পাব। নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। তবে এবার দু’ভাবে ভাইবা কার্ড ইস্যু হতে পারে। বুয়েটের সাহায্যে অনলাইনেও আমরা ভাইবা কার্ড ইস্যু করতে পারি। অথবা গত বারের ন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকেও ভাইবা কার্ড ইস্যু হতে পারে।

পূর্বকোণ/এস 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট