চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পুলিশ সদস্যের কব্জি কাটা সেই কবির ৬ মামলার আসামি : র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে, ২০২২ | ২:৪৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ কনস্টেবলের কব্জি কেটে নেওয়া কবির আগে থেকেই মাদক ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। গ্রেপ্তার কবির ও তার সহযোগী কফিলের নামে মাদক, জমিদখল ও হত্যাচেষ্টার দায়ে ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে র‌্যাব-৭- এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে লোহাগাড়ার বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে কবির ও কফিলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কবির গুলিবিদ্ধ হন।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, পুলিশ সদস্যের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনার পর কবির ও কফিল বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙ্গর এলাকার দুর্গম পাহাড়ে আত্মগোপন করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চলাকালে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে কবির। এ সময় আকরাম নামে এক র‌্যাব সদস্য আহত হন। প্রতিউত্তরে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কফিলসহ গুলিবিদ্ধ কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, কবির ও তার সহযোগী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জমি দখল, মারামারিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে। কফিল তার অপরাধ কর্মকাণ্ডের সহযোগী ও প্রশ্রয়দাতা। সে মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করত। কেউ তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বাধা দিলে তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করত। দুজনের নামে বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাচেষ্টা ও মারামারিসহ ৬টি মামলা রয়েছে।

 

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সদস্যদের জখমে ব্যবহৃত একটি দা, একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলির খোসা, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, দুইটি হাসুয়া, একটি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা, দুইটি মোবাইল ও দুইটি সিম কার্ড জব্দ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

গত ১৫ মে লোহাগাড়ার লালারখিলে মারামারি মামলায় কবির আহামদকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযানে থাকা কনস্টেবল জনি খান ও মামলার বাদী আবুল হোসেনকে দা দিয়ে কোপ দেন কবির। এতে পুলিশ সদস্য জনি খানের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওইদিন রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার কেয়াজুপাড়া এলাকা থেকে কবিরের স্ত্রী রুবি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। আহত কনস্টেবল জনি খানের কব্জি সংযোজন করা হয়েছে। তিনি রাজধানীর আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

 

পূর্বকোণ/এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট