চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাঁশখালীতে ২৪ মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুলাই, ২০১৯ | ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীর চাম্বলের পাহাড়ি এলাকায় আজ রবিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে র‌্যাব-৭ এর একটি দল ডাকাতদের আস্তানায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাব ও ডাকাতদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত দলের মোহাম্মদ জাকের (৪২) নিহত হয়। নিহত ডাকাত জাকের পূর্ব চাম্বল ছড়ারকুল এলাকার মরহুম বাদশা মিয়ার পুত্র। র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, শর্টগান, দেশীয় ১১টি বন্দুকসহ ৪০ রাউন্ড গুলি ও কিরিচ উদ্ধার করে।
নিহত জাকেরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যু, বন মামলাসহ বাঁশখালী থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। সুরতহাল তৈরি করে মোহাম্মদ জাকেরের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাম্বল পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে মোহাম্মদ জাকের মহেশখালী থেকে অস্ত্র এনে ডাকাত দল গঠন করে। এ নিয়ে এলাকায় দুইটি পক্ষ হয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ডাকাত দলকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল আশ্রয় দিয়ে বাহিনী গঠন করতে সহযোগিতা করে। দুর্ধষ ডাকাত দিনে দিনে মোহাম্মদ জাকের আধিপত্য বিস্তার করে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে লোকজনের উপর হামলওা শুরু করে। তার বাহিনীর হাতে ছড়ারকূল এলাকার লোকজন জিম্মি হয়ে পড়ে।
অস্ত্র সম্বলিত ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ভাইরাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা পূর্ব চাম্বল ছড়ারকূল এলাকা ডাকাত দলের আস্তানা ঘেরাও করে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে ডাকাত জাকের মারা যায়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, নিহত ডাকাতকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হয়েছে। র‌্যাবের ডিএডি পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবেন।

পূর্বকোণ/অনুপম-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট