বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলমগীর হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটককৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয়রা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার গৌরস্থান এলাকা থেকে সাইমন ত্রিপুরা (২৩) ও বান্দরবানের চিম্বুক এলাকা থেকে বীর বাহাদুর ত্রিপুরা (২৫) নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। আটককৃত সাইমন ত্রিপুরা পুলিশের কাছে আলমগীর হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ৮ জনের একটি গ্রুপ রাতে হাসনা ভিটা এলাকায় দুটি ভাগে ভাগ হয়ে আলমগীরের ওপর আক্রমণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীরকে সন্ত্রাসীরা তার খামার বাড়ির কাছে কুপিয়ে হত্যা করে। লামা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আলমগীর হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই যুবককে আটক করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সাইমন ত্রিপুরা হত্যাকা-ের সাথে তার সম্পৃক্ত

থাকার কথা স্বীকার করে। তবে তাদের ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে হত্যার পরিকল্পনাকারীরা ব্যবহার করেছে বলে তারা জানিয়েছে। এদিকে হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ড লোহাগাড়া উপজেলার একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধির নাম উঠে এসেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন নিহত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলমগীর সাথে জায়গা জমি নিয়ে ওই সাংবাদিকের বিরোধ চলছিল। ওই সাংবাদিক ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনের নাম তদন্তে উঠে এসেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে উক্ত সাংবাদিক পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।