চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক

চবি ছাত্রীর মামলায় মীরাক্কেল তারকা কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা

৩ মে, ২০১৯ | ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও মীরাক্কেল প্রতিযোগী মো. কায়কোবাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। গত বুধবার মামলার বিষয়টি স্বীকার করেন হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ওসি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে ইতিমধ্যে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাটহাজারী থানার এসআই রাজীব শর্মাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার আটক কায়কোবাদকে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত কায়কোবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি থানার মাটিরাঙ্গা এলাকায়। তিনি ২০১৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় টিভি কমেডি রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯ এর প্রতিযোগী ছিলেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ‘২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ফেসবুকে পরিচয় হয় তাদের। পরে প্রায় সময় ফোনে কথা হতো, তারপর দেখা হয় সরাসরি। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি রাজি না হলে বিভিন্নভাবে ব্লেকমেইল করতে থাকে। একপর্যায়ে সে সম্পর্ক রাখবে না বলে আমাকে হুমকি দেয়। আমাকে বাধ্য করে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য।
ভুক্তভোগী আরো বলেন, শারীরিক সম্পর্ক করার পর থেকে আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে কায়কোবাদ। আমি তাকে ফোন দিলেও সে রিসিভ করতো না। এমনকি ফেসবুকে ব্লক করে দেয় এবং ফোন নম্বারও ব্লেক লিস্টে দিয়ে দেয়। পরে আমি অন্য নম্বার থেকে ফোন করলে, সে বলে আমি তার (কায়কোবাদ) সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাই কি না?। যদি তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাই তাহলে সে কথা বলবে আর না হলে কথা বলবে না। এভাবে বেশ কিছুদিন তার প্রস্তাব মেনে নিতে হয়েছে আমাকে। তা না হলে ক্যাম্পাসে আমার বদনাম ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিত।
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) আমাকে তার সাথে দেখা করতে বলে। আমি কথা রাখতে তার সাথে দেখা করতে যাই। কিন্তু সে আসে না। পরে আমি ফিরে যাওয়ার পথে শাহ আমানত হলের সামনে তার দেখা হয় এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে আমাকে গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকে। আমাকে টেনে হিচড়ে শাহ আমানত হলের গেস্ট রুমে নিয়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি এবং আজ থানায় মামলা দায়ের করলাম।
উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, কায়কোবাদ এর আগে আরো অনেক ছাত্রীর সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট