২৭ জুলাই, ২০১৯ | ২:১১ পূর্বাহ্ণ
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শষে সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু করেছেন জেলেরা। শুরুতেই জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ। আর তাতেই হাসি ফিরেছে জেলেদের মুখে। পাশাপাশি চাহিদা মতো মাছ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।
কাট্টলী রাণী রাসমনি ঘাট ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো জমে উঠেছে বাজার। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সেই দৃশ্য চোখে পড়তো না। পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারাও প্রতিদিন ঘাটে ভিড় করছেন। অন্যদিকে পর্যাপ্ত মাছ ধরতে পেরে খুশি জেলেরা। খাঁচাভর্তি মাছ ধরতে পেরে নিদারুণ কষ্টে পার করা ৬৫ দিন যেন মুহূর্তে ভুলে গেছেন তারা।
দিলিপ দাস তার ছেলে লিটন দাসসহ ৫ জনকে নিয়ে মাছ ধরতে যান সাগরে। নিষেধাজ্ঞার সময় বেকার সময় কাটিয়েছেন বাবা-ছেলে।
তিনি বলেন, ‘৬৫ দিন মানবেতর জীবন-যাপন করেছি। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এখন মাছ ধরতে পারছি। জালে পর্যাপ্ত মাছও পড়ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় ঋণ নিয়ে সংসার চালিয়েছি। ঋণের বোঝা কতদিন বইতে হবে জানি না’।
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন শতশত জেলে এ ঘাট দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। আহরিত মাছগুলো সাগর পাড়েই বেচাকেনা হয়।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা সাগরে যাওয়া শুরু করেছেন। তবে ৬৫ দিনের কষ্ট তাদের পীড়া দিচ্ছে।–বাংলানিউজ
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ জেলে নিষেধাজ্ঞার সময় ঋণ নিয়ে সংসার সামলিয়েছেন। এখন তারা মাছ ধরতে শুরু করলেও ঋণের টাকা শোধ করতে অনেক সময় চলে যাবে।