২৬ জুলাই, ২০১৯ | ২:২৭ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব সংবাদদাতা হ রামু
রামু টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী উৎপল কুমার দাশের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করে। খবর পেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা ও রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত অফিস সহকারী উৎপল দাশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন। টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সহপাঠীকে উত্ত্যক্তকারী উক্ত উৎপল কুমার দাসের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি প্রদানের লক্ষে ক্লাস বর্জন করেছি, আমরা প্রশাসনের কাছে নারীলোভী উৎপল কুমার দাসের যথাযথ শাস্তি কামনা করছি। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, খবর পেয়ে তিনি টেক্সটাইল ভোকেশনাল পরিদর্শনে যান । শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে অভিযুক্ত অফিস সহকারী উৎপল দাসের পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা শুনেছেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উৎপল দাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। লিখিত অভিযোগে ভিকটিম ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, প্রায় সময় অফিস সহকারী নানা অজুহাতে তাকে অফিসে ডাকতেন। এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতেন। এমনকি কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে ইনস্টিটিউট থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। ভিকটিমের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট সুপারিনটেনডেন্ট (অতিঃ দাঃ) প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাস জানান, উক্ত বিষয়ে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টেক্সটাইল ভোকেশনালের অফিস সহকারী উৎপল কুমার দাশ নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে বলেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন এবং এটা তার বিরুদ্ধে সাজানো ষড়যন্ত্র।