চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পশ্চিম বাকলিয়ার ভোট আজ

নির্ভার বিএনপি সংকটে আ. লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জুলাই, ২০১৯ | ২:০৫ পূর্বাহ্ণ

রাত পোহালেই ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় ইভিএম মেশিন ও ভোটগ্রহণ সামগ্রী পৌঁছে গেছে ভোটকেন্দ্রে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মাদক ও সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা হিসেবে খ্যাত এ ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী-ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই আওয়ামী লীগের। দলীয় কোন্দলে একাধিক প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে প্রার্থিতা নিয়ে অনেকটা নির্ভার রয়েছে বিএনপি। সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে আরিফুল ইসলাম ডিউক (মিষ্টি কুমড়া) একক প্রার্থী হিসেবে দাপুটে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। তার পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। পিতার ইমেজ নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন বিএনপির এই তরুণ নেতা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম শহিদের (ঘুড়ি) পক্ষে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রণি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রচারণায় অংশ নেন। সাবেক মেয়র প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা শহিদের ঘুড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালায়। সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি মাসুদ করিম টিটু (রেডিও) বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্য প্রার্থীরা হলেন মোহাম্মদ শফি (লাটিম), মো. শাহেদুল ইসলাম শাহেদ (টিফিন ক্যারিয়ার), শেখ নাঈম (ঠেলাঘাড়ি)।
এদিকে, প্রচার-প্রচারণায় কোন ধরনের অঘটন না ঘটলেও শেষদিনে এক প্রার্থীর একটি ভয়েস রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে ভোটের আগের এই ভয়েস রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়।
নির্বাচনে ৪৯ হাজার ৭৮২ জন ভোটার ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৭৩৩ জন ও নারী ভোটার ২৬ হাজার ৪৯ জন। কেন্দ্রে ১২৪ ভোটকক্ষে ভোট দিবেন ভোটাররা।
নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ত্রাস ও মাদক-কবলিত এলাকা হিসেবে খ্যাত বাকলিয়া ওয়ার্ডে নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অতীতের নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। ভোটার ও এলাকাবাসীর মধ্যে এবার সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান পূর্বকোণকে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে তিন প্লাটুন র‌্যাব, দুই প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাতজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে স্টাইকিং ফোর্স মাঠে টহলে থাকবে।
সবকটি ভোটকেন্দ্র ও বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সবকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট