চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পছন্দের ডেসটিনেশন ফিনলে সাউথ সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ৩:২৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও যোগাযোগের স্থান চান্দগাঁও থানার অন্তর্গত বহদ্দারহাট। কক্সবাজার, বান্দরবান, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কাপ্তাই, উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে  বহদ্দারহাট মোড় দিয়েই যেতে হয়।

গত এক দশকে ফিনলে প্রপার্টিজ লিমিটেড চট্টগ্রামের আবাসন খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠানটি এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সব লোকেশনে ১১টি প্রকল্প সাফল্যের সাথে গ্রাহকদের নিকট হস্তান্তর করেছে। একসাথে বিনোদন, কেনাকাটা, খাবার ও আবাসন এ ধারণায় ২নং গেটে চালু হওয়া ফিনলে স্কয়ার জনমানসে ঠাঁই করে নিয়েছে। এই স্থাপনার বাইরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যসম্বলিত বর্ণনা যা সোনালি অতীতের সাথে প্রজন্মের সেতুবন্ধন রচনা করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিনলে প্রপার্টিজ লিমিটেড উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে মূল শহরের সংযোগস্থাপনকারী বহদ্দারহাট মোড়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছে আগামীর পরিপূর্ণ জীবনধারা ফিনলে সাউথ সিটি। ৪৩ কাঠা জায়গার উপর নির্মাণাধীন ২টি বেজমেন্টসহ ১৯ তলার এ বৃহৎ স্থাপনায় একইসাথে আবাসন ও বাণিজ্যিক সুবিধা সন্নিবেশন করা হয়ছে। বর্তমানে শপিং মল ছাড়া কোন শহর কল্পনা করা যায় না। বন্ধু, পরিবার বা বিশেষ কাউকে নিয়ে বেড়াতে হোক বা কেনাকাটার প্রয়োজনে যেতেই হয়। আড্ডা, কেনাকাটা, খাবার-দাবার এবং বিনোদন সব মিলিয়ে শপিংমলগুলো যেন একের ভিতর পাঁচ, অন্য রকম আনন্দ। ইউরোপীয় সমাজতান্ত্রিক ভিক্টর গ্রোয়েনের চিন্তাপ্রসূত নর্থল্যান্ড শপিং মল যেটি আমেরিকার মিশিগানের সাউথফিল্ড শহরে ১৯৫৪ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম শপিং মল ধারণার সূচনা হয়। সেই থেকে বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে শপিং মল ধারণা আরো ব্যাপকভাবে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ১৮৬৯ সালে নিউইয়র্কে নির্মিত হওয়া স্টুইভেসান্ট বিশ্বের প্রথম এপার্টমেন্ট প্রকল্প যা পরবর্তীতে দেশ থেকে দেশে শহুরে ঘরানায় চিন্তা, মন্ডল ও বসবাসে সকলের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে।

ফিনলে প্রপার্টিজ লিমিটেড সমসাময়িক এবং বৈশ্বিক জীবনযাত্রা স্থানীয় পরিসরে বড় এবং ব্যাপক মাত্রায় আধুনিকতার পরশে ছড়িয়ে দিতে চায়। ফিনলে সাউথ সিটি এ রকম প্রয়াসের একটি। শহরের পরিসর বাড়িয়ে আধুনিক জীবনযাত্রা সকলের আওতায় নিয়ে আসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফিনলে সাউথ সিটির বাণিজ্যিক অংশে অর্থাৎ শপিং মলে ৮৫-২২০০ বর্গফুটের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ স্কয়ারফিটের সমপরিমাণ রিটেইল স্পেস বা ২৩৭টি দোকান রয়েছে।

প্রকল্পটির নিচ তলায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গ্যালারি, গিফট, ক্রোকারিজ, কার্ড শপ ও এটিএম বুথ থাকবে।

দ্বিতীয় তলায় থাকবে জুয়েলারি ও কসমেটিকস, লেডিস রেডিমেড গার্মেন্টস, স্যান্ডেল ও পার্স, ঘড়ি ও চশমা, হস্তশিল্পজাত পণ্য ও শিশুদের খেলনা।

তৃতীয় তলায় শাড়ি, থানকাপড়, লেডিস রেডিমেড গার্মেন্টস, বাচ্চাদের কাপড়, বোরকা, হিজাব এবং লেডিজ টেইলার্স।

চতুর্থ তলায় পুরুষদের রেডিমেড গার্মেন্টস, স্যুট, পাঞ্জাবি ও শেরওয়ানি, বাচ্চাদের কাপড়,  জুতা, চামড়াজাত ও খেলাধুলার সামগ্রী। পঞ্চম তলায় মোবাইল ফোন ও এক্সেসরিজ, ইলেক্ট্রনিকস ও গৃহস্থালী পণ্য, কম্পিউটার সেলস সার্ভিসিং ও বইয়ের দোকান। ছয় তলায় ব্র্যান্ড গ্যালারি, থিম পার্ক ও ইনডোর প্লে জোন। সাত তলায় ফুড কোর্ট ও বাচ্চাদের খেলার জায়গা। আট তলায় পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা প্রেয়ার স্পেস ও প্রশাসনিক অফিস।

আকর্ষণীয় ও সুপরিসর প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, ক্যাপসুল ও সার্ভিস লিফট, এস্কেলেটর এবং সুপরিসর সিঁড়ি, মনোরম এট্রিয়াম, সুবিন্যস্ত কার পার্কিং, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফিনলে সাউথ সিটি শপিংয়ে আনবে ভিন্নতা,আনন্দ ও বিনোদনে দেবে নতুন মাত্রা।

সম্পূর্ণ আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথ সমৃদ্ধ ফিনলে সাউথ সিটির আবাসিক অংশে ৯ তলা থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত প্রতি ফ্লোরে ৮টি করে মোট ৮০ টি এপার্টমেন্ট রয়েছে। ১৩৬৫-১৯০৫ বর্গফুটের প্রতিটি এপার্টমেন্ট স্বাতন্ত্র্যতায় অনন্য। সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা এখানে নিশ্চিত করা হয়েছে। ৩টি সুপরিসর লিফট ও ৮২টি কার পার্কিং স্থান, সুপরিসর কমিউনিটি হল, জিম, কিডস প্লে জোন, বার-বি-কিউ জোন, রুফ টপ গার্ডেন, মহিলাদের স্বাতন্ত্র্য কমিউনিটি হল, হাঁটার স্থান এবং প্রেয়ার স্পেস নিশ্চিতভাবেই ফিনলে সাউথ সিটি প্রকল্পটি নগরবাসীর বসবাসের মানকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

ফিনলে সাউথ সিটি প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। ফিনলে সাউথ সিটি শপিং মল ২০২৪ সালে কেনাকাটা ও বিনোদন এবং এপার্টমেন্ট ২০২৫ সালে বসবাসের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

কেনাকাটা, বিনোদন, খাবার এবং একটি পরিপূর্ণ জীবনধারনে ফিনলে সাউথ সিটি নিশ্চিতভাবেই হবে নগরবাসীর আগামীর আলটিমেট ডেসটিনেশন।

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট