চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রয়োজন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১:৫৮ অপরাহ্ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ। এ শহরের কর্ণফুলী নদীর মোহনায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ‘চট্টগ্রাম বন্দর’। প্রাচীনকাল থেকে বন্দরে নোঙ্গর করে একের পর এক বিদেশী বণিকের জাহাজ। ব্যবসা-বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয় এ জনপদ। ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে এখানে যাত্রা শুরু হয় বহু হালকা, মাঝারি ও কিছু ভারি শিল্প। বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ছুটে আসে বহুজাতিক কোম্পানিও।

১৯৮০ সালে মরহুম নূরুল কাদের খানের হাত ধরে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে। সেই অর্থে চট্টগ্রাম রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের সূতিকাগার। আশি ও নব্বই এর দশকে খুব দ্রুতই চট্টগ্রাম অঞ্চলে গার্মেন্টস শিল্প প্রসার লাভ করে। নুতন নতুন উদ্যোক্তাদের সাহসী পদচারণায় মূখরিত হয়ে উঠে এই শিল্প।

তবে চট্টগ্রামে আজ অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেক বহুজাতিক কোম্পানি চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকা বা অন্যত্র চলে গেছে। বিপরীতে নতুন কিছু শিল্পের প্রসারও ঘটেছে। তবে সামগ্রীক সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে দেশের আমদানি-রপ্তানির ৮০ শতাংশ যে বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে সেই চট্টগ্রাম যতটা প্রসারিত হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলি সংকুচিত হয়ে আসছে।

একজন উদ্যোক্তা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সহায়ক অবকাঠামো ও নীতিগত এবং আত্মনির্ভরতা সুবিধা যেখানে পাবেন স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বিনিয়োগ করবেন। চীনের সাংহাই, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কিংবা ভারতের মুম্বাই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যের নগরীতে পরিণত হয়েছে সহায়ক সুবিধার কারণে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশেরই উন্নয়ন। চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি:

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। বন্ধ হয়ে যায় অনেক কারখানা। অর্ডার বাতিল করে ক্রেতারা। অর্ডার স্থগিতও করেন কেউ কেই। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রায় ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানেই প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে।

জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। পোশাক শিল্পের ভবিষ্যত সুরক্ষা ও শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের লক্ষ্যে ২০২০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করায় ক্রমাগত লোকসানের মধ্যেও পোশাক শিল্প বর্তমানে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরপরেও কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে।

নতুন বিনিয়োগে ব্যাংকের অসহযোগিতা:

চট্টগ্রামে ব্যাংকগুলোর কোনো প্রধান কার্যালয় নেই। এ কারণে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ঋণ প্রদানসহ আমদানি ঋণ পত্র খোলার জন্য লিমিট বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে চট্টগ্রাম থেকে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্নিত সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিডিউল ব্যাংক সমূহের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে স্থাপনসহ ব্যাংক সমূহের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ডিএমডি পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চট্টগ্রামে পদায়ন করা জরুরি।

রাজস্ব সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদনে জটিলতা:

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভ্যাট মওকুফ হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ে উৎসে ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। উক্ত ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাবি নামা জারি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আমদানিকৃত মেশিনারিজ খালাসে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত বিষয়ে কার্যক্রম সহজিকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

চট্টগ্রামস্থ পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের বাৎসরিক অডিট, কারখানা স্থানান্তর, সম্প্রসারণ, এইচএস কোড সংযোজন, মালিকানা পরিবর্তন সহ ইত্যাদি কার্যক্রম বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক সম্পাদন করা হয়। উক্ত বিষয়ে অটোমেশনের মাধ্যমে কার্যক্রম সহজিকরণ পূর্বক দ্রুত অনুমোদন প্রদান জরুরি। কাস্টমস এর এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে শুল্কায়নসহ একই দিনে পণ্য চালান ডেলিভারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ:

বিভিন্ন অবকাঠামো ও হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট স্বল্পতা স্বত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষতঃ পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা এবং বে-টার্মিনালে প্রাথমিক পর্যায়ে ইয়ার্ড নির্মাণ পূর্বক কনটেইনার হ্যান্ডলিংসহ ডেলিভারি কার্যক্রম স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

এছাড়াও এলসিএল পণ্য সংরক্ষণের জন্য ৯টি শেড রয়েছে; কিন্তু বর্তমানে এলসিএলবাহী পণ্য চালানের কনটেইনার বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট শেড সমূহে সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আনস্টাফিং কার্যক্রমে বিলম্ব হয়ে যথাসময়ে ডেলিভারি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এলসিএল পণ্যের জট সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্রুত এলসিএল পণ্য সংরক্ষণের জন্য শেড বৃদ্ধি করে ২/৩ দিনের মধ্যে আনস্টাফিং পূর্বক ডেলিভারি প্রদান করা প্রয়োজন।

গভীর সমূদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করা:

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন গভীর সমূদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম দ্রুত শুরু করলে বড় বড় জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) সমূহ বাংলাদেশে আসতে পারবে। আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালান পরিবহনে সময় ও ব্যয় অনেকটা বহুলাংশে কমবে এবং রপ্তানিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

কমপ্লায়েন্স এর বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে সমস্যা:

কমপ্লায়েন্স এর বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমান অবকাঠামোতে কারখানা পরিচালনার বিষয়ে ক্রেতাদের অনীহা অন্যতম কারণ। সে কারণে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান সমূহ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে। ক্রমাগত বন্ধ হতে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যত্র স্থানান্তর করা প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষ বিধায় অর্থ সঙ্কটের কারণে সম্ভব হচ্ছে না।

পরিবহন ধর্মঘটে নেতিবাচক প্রভাব:

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের (ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার ইত্যাদি) ধর্মঘটের কারণে পণ্য পরিবহনে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। যা বর্তমান করোনাকালীন সঙ্কটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বেশ কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে।

গার্মেন্টস পল্লী স্থাপন:

চট্টগ্রাম শহরের বাইরে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আনোয়ারায় ইকোনমিক জোন এর মধ্যে পোশাক শিল্প এবং পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কারখানা স্থাপনে স্বল্প মূল্যে ভূমি বরাদ্দ এবং অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরের আশে-পাশে (হাটহাজারী, পটিয়া, সীতাকু- ইত্যাদি) ছোট ছোট শিল্প পল্লী গড়ে তোলা।

বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ:

চট্টগ্রামে নতুন কারখানা স্থাপনসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন বিনিয়োগে সহজ ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানে ব্যাংক গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে স্থাপন করতে হবে। ঋণ প্রদান, বিনিয়োগ ইত্যাদির বিষয়ে চট্টগ্রামস্থ ব্যাংকের কার্যালয়সমূহকে ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন।

সরকারি দপ্তরের ক্ষমতায়ন করা:

চট্টগ্রামস্থ সরকারি অধিদপ্তর সমূহ- যেমন আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, বস্ত্র অধিদপ্তর, ইপিবি, বিনিয়োগ বোর্ড, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর সমূহকে এই অঞ্চলের শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন। পোশাক শিল্পের রপ্তানির বিপরীতে ডিসকাউন্ট দ্রুত অনুমোদন, প্রণোদনা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়কে ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম শহরকে বিশ্বমানের করা:

চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতা ও তীব্র যানজট থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নসহ পরিচ্ছন্ন বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তোলা দরকার। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

ওয়ান স্টপ সেবা চালু করা:

সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, পিডিবিসহ ইউটিলিটি দপ্তর সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধনপূর্বক নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সেবাকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা বা জরুরি সেবা হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা। বন্দর ও কাস্টমস, পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করা প্রয়োজন।

কাস্টমস এর এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিটিএমএস কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে শুল্কায়নসহ একই দিনে পণ্য চালান ডেলিভারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানিতে কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম ও কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজিকরণ পূর্বক দ্রুততার সাথে সম্পাদনে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন বাস্তবায়ন করা দরকার।

সুবিধা বাড়ালে বিনিয়োগ বাড়বে:

চট্টগ্রামস্থ পোশাক শিল্প সহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ প্রদান করা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিপূর্বক রপ্তানি পণ্য পরিবহনে কার্গো বিমানের ব্যবস্থাকরণ এবং বিমানের আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করা দরকার। দক্ষ শ্রমিক স্বল্পতা দূরীকরণে সরকারি সহযোগিতায় চট্টগ্রাম শহরের বাইরে বিভিন্ন স্থানে ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা উচিত। মিরসরাই এবং আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে ঐসব অঞ্চলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মত দেশীয় উদ্যোক্তাদেরকেও সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে স্থানীয় বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

ইজ অব ডুয়িং বিজনেস চালু:

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণ, মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, সমূদ্র ঘেঁষে আউটার রিং রোড নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন, মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- চলমান। তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন হলে এবং একই সাথে বিনিয়োগ আকর্ষণে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস উল্লেখিত ফ্যাক্টর সমূহ সহজিকরণ করা হলে চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে প্রকৃত রূপ লাভ করবে এবং এ অঞ্চল দেশের অর্থনৈতিক হাব হিসেবে পুনরায় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

লেখক: প্রথম সহ-সভাপতি, বিজিএমইএ

 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট