চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সুদূরপ্রসারী চিন্তার স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পখাত

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১:১২ অপরাহ্ণ

দেবব্রত রায়

 

বাংলাদেশে সিমেন্টের বার্ষিক চাহিদা ৪ কোটি হলেও উৎপাদন সক্ষমতা ৮ কোটি ৪০ লাখ টন। এক সময় আমদানির উপর নির্ভরশীল থাকা বাংলাদেশ এই খাতেই সবচেয়ে বেশি নির্ভার রয়েছে। গত এক দশকে দেশের শত শত মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের সুষ্ঠু পরিসমাপ্তির জন্য এই সিমেন্ট খাত সবচেয়ে বেশি নির্ভরতা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতের গল্পের শুরুটা ছোট হলেও গৌরবময়। তবে শুরুটা এমন নির্ভার ও মসৃণ ছিল না। দেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা ১৯৪১ সালে স্থাপিত হয় সিলেটে। প্রতিষ্ঠানটির নাম ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। যা পূর্বে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট নামে পরিচিত ছিলো। বর্তমানে এই সিমেন্ট কারখানাটি সরকারি মালিকানাধীন। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালে ‘টিটাগাং সিমেন্ট ক্লিংকার এন্ড গ্র্যান্ডিং ফ্যাক্টরি লিমিটেড’ নামে দেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা স্থাপিত হয় চট্টগ্রামে। এই দুই সিমেন্ট কারখানা দিয়ে নব গঠিত বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণের খাতের চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল না। ফলে বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতের সিংহভাগই ছিল আমদানি নির্ভর। ডাটাবিডি ডট কমের এক তথ্য বলছে, নব্বই দশকে এদেশের মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশ সিমেন্ট আমদানি হতো ইন্দোনেশিয়া, চায়না, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে।
নব্বই দশকের পর বাংলাদেশে শিল্প খাতে প্রবেশ ও অবকাঠামোগত খাতে উন্নয়ন কার্যক্রমের শুরু হতে থাকে। ওই সময়ে সিমেন্টখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠে দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তারা। দেশের প্রথম বেসরকারি খাতে ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামে কনফিডেন্স সিমেন্টের হাত ধরেই সূচনা হয় সিমেন্ট খাতের। এরপর মেঘনা সিমেন্ট, আরামিট সিমেন্ট, কিং ব্র্যান্ড, এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড, সাত ঘোড়া ও মোস্তফা হাকিম সিমেন্ট ২০০০ সালের আগেই তাদের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। এসময় বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে হুন্দাই সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের অপারেশন শুরু করে। ২০০০ সালে এ খাতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসে আবুল খাতের জায়ান্ট শিল্প পরিবার আবুল খায়ের গ্রুপের হাত ধরে। আবুল খায়ের গ্রুপের শাহ্ সিমেন্ট বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থান দখল করে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
২০০০ সালে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট টিটাগাং সিমেন্ট ক্লিংকার এন্ড গ্র্যান্ডিং ফ্যাক্টরির শেয়ার কিনে নেয় এবং ২০০৩ সালে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট কারখানা অব বাংলাদেশ নামে পরিচালনা শুরু করে। পরে কোম্পানিটি রুবি সিমেন্ট নামে বাজারজাতকরণ শুরু করে। বিংশ শতাব্দীর শেষে এবং একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানি যেমন হাইডেলবার্গের স্ক্যান সিমেন্ট, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, হোলসিম, সিমেক্স এবং আলট্রাটেকের মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতে বিপ্লব ঘটাতে বড় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) সর্বশেষ তথ্য বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে সিমেন্টের বাজার প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের। বিসিএমএ’র পরিসংখ্যানে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সিমেন্ট শিল্প কারখানা সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ।
সিমেন্ট একটি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা যদি কোন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অথবা উন্নয়ন দেখে থাকি তাহলে সেই দেশের মাথাপিছু সিমেন্ট ও স্টিল ব্যবহার কেমন সেটি মাপা জরুরি। মূলত সিমেন্ট ও স্টিল ব্যতীত কোন দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন একেবারেই সম্ভব নয়। যেকোন উন্নয়নশীল অথবা উন্নয়নশীল দেশই হোক না কেন এই দুইটি পণ্যের উপর তাদের গুরুত্ব দিতে হয় বেশি করে। যেমন, চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১৭০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৮৯০ কেজি, থাইল্যান্ডে ৬২০ কেজি, ভিয়েতনামে ৫১৮ কেজি, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৩২৫ কেজি, শ্রীলঙ্কায় ৪১২ কেজি। বাংলাদেশে মাথাপিছু সিমেন্ট ব্যবহার গত এক দশকে বেড়ে বর্তমানে ২২০ কেজি দাঁড়িয়েছে। অথচ নব্বই দশকে বাংলাদেশে মাথাপিছু সিমেন্ট ব্যবহার ছিল ৫০ কেজিরও কম।
বিসিএমএ’র সর্বশেষ তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে সিমেন্টের বাজার প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার। বাংলাদেশে এই সিমেন্ট খাতে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। এরমধ্যে পাঁচটি বহুজাতিক। খাতটিতে উদ্যোক্তাদের মোট বিনিয়োগ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। দেশে সিমেন্টের বার্ষিক চাহিদা প্রায় চার কোটি টন। এর বিপরীতে প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ টন উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে এসব কারখানার। দেশের সিমেন্ট খাতের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের হাতেই রয়েছে বাজারের ৭১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে দেশের সিমেন্টের বাজারে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড চট্টগ্রামভিত্তিক আবুল খায়ের গ্রুপের শাহ্ সিমেন্ট। ১২ দশমিক ১৩ নিয়ে দ্বিতীয় বসুন্ধরা গ্রুপের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট, ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ সিমেন্ট, ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ ক্রাউন সিমেন্ট, ৭ দশমিক ২১ শতাংশ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে সেভেন রিংস সিমেন্ট, ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে প্রিমিয়ার সিমেন্ট। শীর্ষ দশের অপর চারটি প্রতিষ্ঠান হলো যথাক্রমে স্ক্যান-রুবি, লাফার্জ সুরমা, আকিজ ও হোলসিম সিমেন্ট। বাকি ২৭টি সিমেন্ট ফ্যাক্টেরির মার্কেট শেয়ার আছে ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট লিজিং কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড’র (আইডিএলসির) জানুয়ারী ২০২১ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিমেন্টখাতে বাংলাদেশে সরাসরি ৬০ হাজার মানুষ কাজ করছেন। পরোক্ষ ভাবে এই খাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষের কর্মক্ষেত্র এই সিমেন্টখাত। দেশের সিমেন্টখাতের ৪৫ শতাংশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে সরকারি উন্নয়ন খাতে, ৩০ শতাংশ ব্যবহার হয় আবাসন খাতে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাখাতে। দেশের ন্যূনতম রপ্তানি হওয়া সিমেন্টের ৯০ শতাংশই যাচ্ছে ভারতে। বাকি সিমেন্ট যাচ্ছে নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু দেশে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, করোনার সময় সিমেন্ট কোম্পানিগুলো তাদের সক্ষমতার মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে করোনাকালীন সময়ে এই খাতের বাজার ক্ষতি হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। কারণ এই সময়ে দেশে আমদানি না থাকায় কাঁচামালের বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়। এদিকে ইষ্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) সিকিউরিটিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশের ৬০ শতাংশ সিমেন্ট উৎপাদন ও ব্যবহার হয় শীত মৌসুমে। সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল এই ৬ মাস সিমেন্ট খাতের পিক সিজন ধরা হয়।
বৈশ্বিক সিমেন্ট খাতের ব্যবসা পর্যালোচনাকারী সিমেন্ট মার্কেট রিসার্স নামের গবেষণা সংস্থা বলছে, ২০২০ সালে বিশ্বে সিমেন্টের বাজার ৩১৪ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০২৮ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলারে। ওয়ার্ল্ড এক্সপোর্ট ডট কমের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বে সিমেন্ট রপ্তানিতে শীর্ষে আছে ভিয়েতনাম। এই দেশটি ২০২০ সালে সিমেন্টখাতে রপ্তানি করেছে এক দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের সিমেন্ট এবং সিমেন্টের কাঁচামাল। রপ্তানিতে ভিয়েতনামের পরেই রয়েছে তুরস্ক, থাইল্যান্ড, জার্মানি ও কানাডার মতো দেশ। এদিকে মডার্ন ইন্টেলিজেন্সের তথ্য বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৫ সালে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত খাত ৮ শতাংশ হারে বাড়বে। যার কারণে বাংলাদেশে সিমেন্টখাতের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে ধারণা করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিযোগিতমূলক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সুসংহত করার লক্ষ্যে সিমেন্ট খাতের উৎপাদনে নতুন ধরনের প্রযুক্তি কম্পোজিট সিমেন্ট বাজারজাতকরণের কাজ শুরু করেছে কোম্পানিগুলো। ইতিমধ্যে কোম্পানিগুলো অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট এবং পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের পাশাপাশি বিভিন্ন সহজাত পণ্যের বাজারজাতকরণ করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি শুধুমাত্র দেওয়ালের প্লাস্টারের জন্য স্পেশালাইজড প্লাস্টারক্রিট সিমেন্ট তৈরি করে বাজারজাত করছে। এমনকি শাহ্ সিমেন্ট ও ক্রাউন সিমেন্ট নতুন ধরনের ধুলা-বালি প্রতিরোধী ব্লাস্ট ফার্নেন্স সিমেন্ট বাজারজাত শুরু করেছে। এছাড়া ইটের বিকল্প হিসেবে সিমেন্টর তৈরি কনক্রিট ব্লক নির্মাণের দিকে ঝুঁকছে সিমেন্টখাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। কনক্রিট ব্লক পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় এই খাতেও বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে সিমেন্ট কোম্পানিগুলো।
সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার। এই ক্লিংকার তৈরি করা হয় লাইমস্টোন বা চুনা পাথর থেকে। যা বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট খাতগুলোতে সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব না। দেশের সিমেন্টখাতে ব্যবহৃত ক্লিংকার পুরোটাই আমদানি নির্ভর। দেশের মধ্যে ছাতক সিমেন্ট কারখানা এবং লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট সীমিত পরিসরে ক্লিংকার তৈরি করে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন ক্লিংকার, গ্রানালিটেড ¯প্লাগ, চুনা পাথর ও জিপসাম আমদানি হয়। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কাঁচামালের জন্য চীনের উপর নির্ভর হলেও সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কাঁচামাল আমদানিতে ঝুঁকছে।
সিমেন্ট খাতের সামনে আরো বড় সম্ভাবনা আছে কনক্রিট ব্লক ও আরসিসি ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে। একটি কনক্রিট ব্লক পাঁটি ইটের সমান জায়গা নেয় এবং ওজন অনেক কম হওয়ায় নির্মাণকাজের সময় স্থাপনার ওজন বেশ কমে যায়। কনক্রিট ব্লক হলো ইটের প্রতিদ্বন্দ্বী। দেশের অবকাঠামো খাতে ইটের ব্যবহার কমিয়ে কনক্রিট ব্লক ব্যবহারের দিকে বেশি মনোযোগী হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই কনক্রিট ব্লক সিমেন্টের তৈরি। অন্যদিকে দেশের সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আরসিসি ঢালাইয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রকৌশলীরা। আরসিসি ঢালাইয়ে সিমেন্ট ব্যবহার করার কারণে নির্মিত স্থাপনা টেকে বছরের পর বছর। যার কারণে দেশের ব্যবসায়ে সিমেন্ট খাতে রাজত্ব আসন্ন বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশে সিমেন্ট ব্যবসার সম্ভাবনা প্রচুর। গত এক দশকে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ শতাংশ হারে বেড়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন সিমেন্ট শিল্পখাতের শীর্ষ সংশ্লিষ্টরা। তবে দেখার বিষয় হলো, উচ্চ করের কারণে কতটা মুনাফা হবে। বর্তমানে ক্লিংকার আমদানিতে প্রতি টনে ৫০০ টাকা কর দিতে হয়। অগ্রিম কর দিতে হয় ২ শতাংশ। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট দিতে হয়। এক প্যাকেট সিমেন্ট যদি ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়, তার মধ্যে ৬০ টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে দিতে হয়। তাই এই শিল্পকে সরকারের সহযোগিতা করা উচিত বলে জানান সিমেন্ট খাতের বিশ্লেষকরা।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট