চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এক দশকে দেশে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সারাদেশের গাড়ির নিবন্ধন দিয়ে থাকে। তাদের তথ্যমতে ২০১০ সালে বাংলাদেশে মোট গাড়ির সংখ্যা ছিল ১৪২৭৩৬৮টি। ১১ বছরের ব্যবধানে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯৭১৫৩৫টি। এই সময়ে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ৩৫৪৪১৬৭টি। অর্থাৎ গাড়ি সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৫০% বা সাড়ে তিন গুণ। এর বাইরে অনিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যাও কম নয়। বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে এবং দুর্গম এলাকায় যেসব মোটরসাইকেল, সিএনজি ট্যাক্সি, ট্রাক চলাচল করে সেসবের নিবন্ধন নেয়া হয় না। তবে বাড়েনি ট্যাক্সিক্যাবের সংখ্যা। ২০১০ সালে দেশে ট্যাক্সিক্যাব ছিল ৩৫ হাজার ১২২টি। বর্তমানে হয়েছে ৩৬ হাজার ১০৭টি। ১১ বছরে বেড়েছে মাত্র ৯৮৫টি।

অপরদিকে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং প্রাইভেট কারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বাসেরর সংখ্যা দ্বিগুণের চেয়ে কিছুটা বেশি বেড়েছে কিন্তু মিনিবাসের সংখ্যা সে হারে বাড়েনি।

বিআরটিএ’র তথ্যমতে তারা ২০টি ক্যাটাগরিতে গাড়ির নিবন্ধন দেয়। ২০১০ সালে দেশে নিবন্ধিত এম্বুলেন্সের সংখ্যা ছিল ২৪৮৬টি। ১১ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭৫১৪টি। করোনা মহামারির কারণে ২০১৯, ২০ এবং ২১ সালে এম্বুলেন্স আমদানি কিছুটা বেড়েছে। সিএনজি ট্যাক্সি ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৩টি। চলতি বছর হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৯৮টি। অটো টেম্পো ছিল ৯৪৪৬টি। বর্তমানে হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩টি। বাসের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩৮৫টি। এখন হয়েছে ৪৯ হাজার ২৭৩টি। কার্গোভ্যানের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৬৩টি। এখন হয়েছে ৯৫৪০টি। ২০১৯ সাল থেকে ২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কার্গো ভ্যান নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ৯টি। মহামারীর সময় কার্গোভ্যান আমদানি খুব কমই হয়েছে। ১১ বছর আগে দেশে কাভার্ডভ্যান ছিল ৬ হাজার ২২টি। এখন হয়েছে ৪০ হাজার ৬৬৭টি। ডেলিভারি ভ্যানের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৩৯১টি। এখন হয়েছে ৩১ হাজার ৯৫৩টি। হিউম্যান হলার ছিল ৪ হাজার ৮২৭টি। বর্তমানে হয়েছে ১৭ হাজার ৩৬৬টি। জিপ(হার্ড/সফট) ছিল ২৮ হাজার ১৩১টি। বর্তমানে হয়েছে ৭১ হাজার  ৮৫১টি। মাইক্রোবাস ছিল ৬২ হাজার ৩৯৯টি। বর্তমানে আছে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৮১টি। মিনিবাস ছিল ২৩ হাজার ৭০টি। বর্তমানে হয়েছে ২৭ হাজার ৫১৮টি। ২০১০ সালে দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। ২০২১ সারের নভেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮০৩টি। অর্থাৎ এই সময়ে মোটরসাইকেল বেড়েছে ২৭ লাখ ৮২৮৯টি। পিকআপ (ডাবল/সিঙ্গেল) কেবিন ছিল ২৯ হাজার ১০৩টি। বর্তমানে আছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৭টি। প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার কার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। বর্তমানে হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭২৬টি। স্পেশাল পারপাস ভেহিকল ছিল ৫ হাজার ২২টি। বর্তমানে হয়েছে ১১ হাজার ৬৫১টি। ট্যাংকার ছিল ২ হাজার ৬০৬টি। বর্তমানে হয়েছে ৬ হাজার ১৬৯টি। ট্যাক্সিক্যাব ছিল ৩৫ হাজার ১২২টি। বর্তমানে হয়েছে ৩৬ হাজার ১০৭টি। ট্রাক্টর ছিল ১৪ হাজার ৬৪৮টি। বর্তমানে আছে ৪৪ হাজার ৬৬৮টি। ট্রাক ছিল ৬৫ হাজার ৮৮৯টি। বর্তমানে আছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২২টি। অন্যান্য যানবাহন ছিল ২২ হাজার ৩৩২টি। বর্তমানে আছে ৫৭ হাজার ৬৮টি।

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট