চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জেদ থেকেই গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের যাত্রা

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ২:৪২ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম রিংকু

গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের (পরিবেশবান্ধব) যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এর অগ্রপথিক-পথপ্রদর্শক হল ‘পিএইচপি’। পিএইচপি শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সুরক্ষামূলক শিপইয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির (রিনা) স্বীকৃতি অর্জনকারী একমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান। পেয়েছে ‘মেরিটাইম এওয়ার্ড-২০২১’ ও আরও কয়েকটি দেশি-বিদেশি স্বীকৃতিও। এ শিল্পকে বিশে^ অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অগ্রনায়ক-স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন পিএইচপি শিপ ব্রেকিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম রিংকু। পূর্বকোণের সাথে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের পেছনে তাঁর স্বপ্ন-সাধনা, অভিজ্ঞতা ও ঈর্ষণীয় সাফল্যের কথা। কথা বলেছেন পূর্বকোণের প্রতিবেদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

পূর্বকোণ : পিএইচপির জাহাজভাঙা শিল্পের শুরুর গল্পটা জানতে চাই

জহিরুল ইসলাম : আমার আব্বা সুফি মিজানুর রহমান ১৯৮২ সালে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা শুরু করেন। ওশান নামে একটি জাহাজ ভাঙা দিয়ে শুরু। যার ওজন ছিল সাড়ে তিন হাজার টন। আব্বার হাতেই এ ব্যবসার গোড়াপত্তন শুরু হয়।

 

প্রশ্ন : আপনি কীভাবে যুক্ত হলেন ?

জহিরুল ইসলাম : ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসি। আমাদের গ্লাস ফ্যাক্টরিতে বড় ভাইয়ের অধীনে কাজ শুরু করি। ২০০৮ সালে আব্বার নির্দেশনায় শিপ ব্রেকিংয়ে যুক্ত হই। তাঁর নির্দেশনা ছিল, শিপ ব্রেকিং শিল্পকে কীভাবে আধুনিকায়ন করা যায়, তা চিন্তা ও বাস্তবায়ন করার জন্য।

 

প্রশ্ন : জাহাজভাঙার প্রাচীন এ শিল্পকে গ্রিন শিপ ইয়ার্ডে রূপান্তরের চিন্তা কীভাবে এল ?

জহিরুল ইসলাম : ২০০৯-২০১০ সাল থেকে আমি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনফারেন্সে যোগ দেওয়া শুরু করি। তখন দেখলাম, দেশ-বিদেশে পরিবেশবাদীরা এ শিল্পের প্রতি খুবই নেগেটিভ। অভিযোগ করতো, আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি না, পরিবেশের ক্ষতি করছি। ২০১০-২০১১ সালে বিভিন্ন সেনিমার-কনফারেন্সে এসব কথা শুনতে শুনতে আমার ভেতরে জেদ এসে যায়। আমার বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি-৯ মাসে স্বাধীনতা পেয়েছি। আর কোনো জাতি নয় মাসে স্বাধীনতা পায়নি। দেখলাম, বাংলাদেশিরা যে রকম কর্মঠ, এতে কোনো কিছুই আমাদের জন্য অসম্ভব নয়। এনজিওরা যে সারাক্ষণ নেগেটিভ কথা বলে গ্রিন শিপ ইয়ার্ডে রূপান্তরের পর তাদের মুখ বন্ধ হয়ে আসবে। সেই জেদ থেকে ২০১৪-১৫ সাল থেকে গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কাজ শুরু করি।

 

প্রশ্ন : সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাহাজভাঙা শিল্প সংক্রান্তে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিদেশ গেছেন, সেই অভিজ্ঞতা কীভাবে কাজে লাগালেন?

জহিরুল ইসলাম : ২০১১ সালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিপ রিসাইক্লিংকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে এ খাতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সরকার এ শিল্পের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমি টার্কি গিয়েছি, সেখানকার ইয়ার্ডগুলো দেখেছি। তাদের অপারেট, বর্জ্যব্যবস্থাপনা দেখেছি। এর আগে ভারতে গিয়েছি। আলআইনে শিপব্রেকিং হয়, সেখানেও গিয়েছি। বিদেশি গেলে সুবিধা হয়, ওরা যে প্র্যাকটিসগুলো করে আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। এভাবে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা ইয়ার্ডকে নতুনভাবে উন্নয়ন শুরু করি। পিএইচপি বাংলাদেশের প্রথম হংকং সার্টিফিকেট অর্জনকারী শিপ ইয়ার্ড। পিএইচপি তখন সরকার ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে কাজ করে আসছিল। এই হংকং সার্টিফিকেটের বিষয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে আলোচনা করি। হংকং কনভেনশন আদলে বাংলাদেশেও যে ইয়ার্ড করা যায়, সেই আইডিয়াগুলো আমরা সরকার ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছি। সরকার সেই আইডিয়া স্টাডি করেছে। প্রতিটি ইয়ার্ডকে হংকং কনভেনশন আদলে করার জন্য ২০১৮ সালে আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি ইয়ার্ডকে হংকং কনভেনশন আদলে উন্নয়ন করতে হবে।

 

প্রশ্ন : গ্রিন শিপ ইয়ার্ড বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কোন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ থাকলে বিস্তারিত বলুন-

জহিরুল ইসলাম : গ্রিন ইয়ার্ড করার জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। পিএইচপি যে ইয়ার্ড উন্নয়ন করেছে, সেটাতে প্রায় এক শ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আসলে সবাই নিজের পকেট থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে ইয়ার্ডের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, ইয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়নে কম সুদে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করা যায়। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বর্জ্যব্যবস্থাপনা। এখন আমাদের বর্জ্যগুলো আমরা একটি বড় স্টোরে রাখছি। বর্জ্যব্যবস্থাপনার জন্য সরকার টিএসডিএফ (ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ, ডিসপোজাল ও ফ্যাসিলিটি) সুবিধা দেওয়ার কথা দিয়েছে। এবিষয়ে আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজও করছি। আশা করছি, দুই বছরের মধ্যে সরকার প্রস্তুত করে দেবে। শিপইয়ার্ড জোনের কাছাকাছি হবে সেইভাবে টিএসডিএফ।

 

প্রশ্ন : গ্রিন শিপইয়ার্ডের ধারণা ও বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। এটি আপনাদের কীভাবে অনুপ্রাণিত ও লাভবান করছে, জানতে চাই।

জহিরুল ইসলাম : যখনই কেউ কোনো ভালো কাজ করে তার একটি স্বীকৃতি চাই। বাংলাদেশকে নিয়ে বিদেশি ও এনজিওরা বলতো বাংলাদেশে কখনো গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং সম্ভব না। সেটা যে ভুল তা আমরা প্রমাণ করেছি। প্রথমে আমরা যখন ইয়ার্ডের উন্নয়ন করেছিলাম তখন ইতালির ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির (রিনা) সার্টিফিকেট পেলাম। ২০২০ সালে আমাদেরকে সার্টিফিকেট দিয়েছে বিশে^র সেরা প্রতিষ্ঠান ক্লাস এনকে থেকে আমরা হংকং কনভেনশন সম্পন্ন করেছি। এগুলো আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এসব স্বীকৃতি আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করছে। আমরা আরও উন্নয়ন করছি। বিশে^র অনেক বড় বড় শিপ মালিক রয়েছেন, যাদের সার্টিফিকেট রয়েছে তাদের কাছে শিপ রিসাইক্লিং করার জন্য পাঠায়। আমাদের সার্টিফিকেট রয়েছে। আমাদের সার্টিফিকেট থাকায় আমাদের কাছে পাঠায়। এটাও তো অনেক বড় প্রাপ্তি।

 

প্রশ্ন : পিএইচপি’র দেখানো পথে অনেকেই তাদের শিপইয়ার্ডকে গ্রিন শিপইয়ার্ডের রূপান্তর করছে, অনুসরণের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

জহিরুল ইসলাম : বিষয়টি আমরা খুবই আন্তরিকভাবে দেখছি। হংকং কনভেনশন আদলে রূপান্তরের জন্য প্রতিটি ইয়ার্ডের মালিক, প্রতিনিধি আমাদের ইয়ার্ড ভিজিট করেছেন। একটি ইয়ার্ডে কীভাবে উন্নয়ন করা যায় আমরা সব শেয়ার করেছি। কারণ সম্মিলিতভাবে আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। বাংলাদেশকে বিশে^র মানদ-ে নিয়ে যেতে হলে একটি ইয়ার্ডের উন্নয়ন দিয়ে হবে না, বেশির ভাগ ইয়ার্ড গ্রিন শিপ ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে হবে। এটিকে আমি পজিটিভলি দেখি। এবং যারা আমাদের ইয়ার্ড ভিজিট করতে চাই, আমরা এলাও করি।

 

প্রশ্ন : যারা এখনো গ্রিন শিপইয়ার্ডে রূপান্তরের কাজ শুরু করেনি, তাদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ-

জহিরুল ইসলাম : দেখেন আমাদের শিপ রিসাইক্লিং এক্ট-২০১৮-তে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, ২০২৩ এর মধ্যে সব ইয়ার্ডকে হংকং কনভেনশন আদলে উন্নয়ন করতে হবে। এরমধ্যে দুটি বছর করোনাতে হারিয়ে ফেলেছি। এটি ধরে সরকার হয়তো আমাদের দুই বছর অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেবে। হয়তো ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়ন করতে হবে, না হয় সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় ওই ইয়ার্ড বন্ধ করে দেবে। সুতরাং নিজেদের জন্য হলেও সবাইকে গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে হবে।

 

প্রশ্ন : গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরে যে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে সেটি সাধারণ মানের ইয়ার্ডগুলোকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে বলে কেউ কেউ বলছেন, আসলে কি তাই?

জহিরুল ইসলাম : অফকোর্স, এটাতে অনেক খরচ বেড়ে গেছে। আমাদের বড় বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। রিসাইক্লিং প্রসেস অনেক কমে গেছে। আগে যে জাহাজ কাটতে ৪-৫ মাস সময় লাগত এখন ৬-৭ মাস লাগছে। এ খাতে বিনিয়োগের কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সহায়তায় দিলে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারবো।

 

প্রশ্ন : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা আজকাল বেশ শোনা যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় এখনো প্রাচীন প্রথায় জাহাজভাঙার কাজকে কীভাবে দেখছেন? আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।

জহিরুল ইসলাম : এখানে আমি একমত নই। কারণ এখন আর প্রথাগতভাবে শিপ রিসাইক্লিং করা হয় না। আপনারা যদি ইউটিউবের ভিডিও দেখেন, সেখানে প্রাচীন ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন। এখন আমাদের ইয়ার্ডে আসেন। আরও ৮-১০ ইয়ার্ড পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে, এগুলো ভিজিট করেন। দেখবেন, আমরা টেকনোলজির ব্যবহার কীভাবে বাড়িয়েছি। আগে আমাদের ইয়ার্ডে তিন হাজার লোক কাজ করতো, এখন শুধু তিন শ লোক কাজ করে। এটা তো হুট করে করা হয়নি। অনেক আধুনিকায়নের ফলে হয়েছে। এখানে ম্যাগনেক্রট ক্রেন, হাইড্রোলিক ক্রেন, টাওয়ার ক্রেন, বুম ক্রেন, বার্জ ক্রেন সংযোজন করা হয়েছে। বলতে হয়, শিপ ব্রেকিংয়ে এখন অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্ন : প্রথাগত জাহাজভাঙায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াও শ্রমিকদের শারীরিক ক্ষতির কথাও বলা হচ্ছে। গ্রিন শিপ ইয়ার্ড পরিবেশ সুরক্ষায় কী ধরনের সুফল আনবে ?

জহিরুল ইসলাম : দেখেন, যখন জাহাজ কাটা হয় তখন দেখা হয় যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয়। এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। প্রতিটি ইয়ার্ডে এটা করা হয়। এসব মেনেই আমরা জাহাজ কাটছি। এখন পরিবেশবাদীদের যুক্তি আর টিকে না। কারণ পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিং করে আমরা সারা বিশ^কে দেখিয়ে দিয়েছি। পিএইচপি এখন শুধু বাংলাদেশে নয় ভারত, পাকিস্তান, টার্কির মতো দেশেও আমাদের ইয়ার্ড সেরা। সারাবিশ^ এখন আমাদের সেভাবে সম্মান করে। আমি আশা করি, সবাই গ্রিন ইয়ার্ডের দিকে গেলে পরিবেশবাদীদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। এবং ওরা এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অভিযোগ করার কোনো সুযোগ পাবে।

 

প্রশ্ন : শিপ ব্রেকিং শিল্প পুরোপুরিভাবে গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরিত হওয়ার পর বিশে^ বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্প কোন অবস্থান দাঁড়াবে বলে আপনি মনে করেন ?

জহিরুল ইসলাম : দেখেন, বাংলাদেশ দু-তিন বছর ধরে বিশে^ শিপ ব্রেকিং-এ নাম্বার ওয়ান পজিশন ধরে রেখেছে। আমরা সবচেয়ে বেশি শিপ রিসাইকেল করি। কারণ বাংলাদেশে লোহার খনি নেই। স্টিল তৈরির প্রধান কাঁচামাল শিপ ব্রেকিং থেকে আসে। শিপ ব্রেকিংয়ের উপর নির্ভরশীলতা বাংলাদেশে অনেক বেশি। ভারত, টার্কি ও পাকিস্তান কিন্তু পুরোপুরি নির্ভর করে না। আপনি যদি দেখেন, শিপ ইয়ার্ড ১০ দিন বন্ধ থাকে তাহলে রডের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে ডাবল হয়ে যাবে। শিপ ব্রেকিং হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। সেটি অনুধাবন করেই সরকার এক্ট প্রণয়ন করেছে। আমি মনে করি, সব ইয়ার্ড যদি গ্রিন ইয়ার্ড হয়ে যায়, তাহলে আমরা নাম্বার ওয়ান পজিশন ধরে রাখতে পারবো। পরিবেশবাদীদেরও আর কোনো অভিযোগ করতে পারবে না। আমি বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি। ইনশাল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে সব ইয়ার্ডই গ্রিন হয়ে যাবে।

 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট