চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পশ্চিম বাকলিয়ার উপ-নির্বাচন কাল

শঙ্কা-আতঙ্কে ভোটাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুলাই, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন। সবকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা-প্রচারণা। শেষমুহূর্তে বিরামহীন প্রচারণা ও ব্যস্ত সময় কেটেছেন প্রার্থী ও সমর্থকদের। বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহদাত হোসেন।
নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে বিএনপির একজন ও সরকার দল আওয়ামী লীগের ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের কোন্দলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি প্রার্থী। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ডিউক সাবেক কাউন্সিলর মরহুম এ কে এম জাফরুল ইসলাম ছেলে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ডিউক (মিষ্টি কুমড়া), সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি মাসুদ করিম টিটু (রেডিও), সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম (ঘড়ি), মোহাম্মদ শফি (লাটিম), মো. শাহেদুল ইসলাম শাহেদ (টিফিন ক্যারিয়ার), শেখ নাঈম (ঠেলাঘাড়ি)। ডিউক ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ ঘরনার। সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম ও মাসুদ করিম টিটুকে ঘিরে মাঠে নেমেছেন আ. লীগের দুই গ্রুপ। নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ঘিরে দুই গ্রুপে বিভক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই প্রার্থীকে ঘিরে মাঠে নেমেছেন। তবে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি।
নির্বাচনে ৪৯ হাজার ৭৮২ জন ভোটার ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৭৩৩ জন ও নারী ভোটার ২৬ হাজার ৪৯ জন। কেন্দ্রে ১২৪ ভোটকক্ষে ভোট দিবেন ভোটাররা।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ত্রাস ও মাদক-কবলিত এলাকা হিসেবে খ্যাত বাকলিয়া ওয়ার্ডে নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অতীতের নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। ভোটার ও এলাকাবাসীর মধ্যে এবার সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান পূর্বকোণকে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে তিন প্লাটুন র‌্যাব, দুই প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাতজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে টহলে থাকবে।
সবকটি ভোটকেন্দ্র ও বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সবকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল কাউন্সিলর এ কে এম জাফরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর কাউন্সিলর পদ শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট