চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ

অবশেষে দখলমুক্ত হলো অক্সিজেনের সেই নালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুলাই, ২০১৯ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে খুঁজে বের করা অক্সিজেনের সেই নালা অবৈধ দখলমুক্ত করা হল। যে নালা দখল করে অর্ধশতাধিক দোকান নির্মাণের কারণে সম্প্রতি পুরো অক্সিজেন এলাকায় কয়েকদিন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহায় সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রাম ওয়াসা, সিডিএ, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন গিয়ে সেই নালা খুঁজে না পাওয়ার কথা জানালে মানুষ চরম হতাশ হয়। অবশেষে গতকাল সেই নালা উদ্ধার হয়েছে। সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে চসিকের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস,

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার অভিযান চালিয়ে নালাটি উদ্ধার করেন। এসময় নগরীর বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড় ও বায়েজিদ রোড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নালার উপর অবৈধভাবে নির্মিত অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাহেদ ইকবাল বাবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, দীঘদিন ধরে ওই এলাকায় কিছু অসাধু লোকজন নালার উপর অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে অবৈধভাবে ব্যবসা ও ভাড়া আদায় করে আসছিল। এতে অক্সিজেন এবং আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গতঃ সিটি মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই চসিকের অবৈধ জায়গা পুনরুদ্ধার, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা হতে মুক্তির লক্ষে পানি চলাচলের পথ সুগম করতে খাল-নালার উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেন। যার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে চসিকের বেশ কিছু জায়গা উদ্ধারসহ অনেক নালা-খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় এবং নগরীর পানি নিষ্কাশনের পথ উম্মুক্ত হয়। এই অভিযানের পূর্বে অবৈধ দোকানপাটগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরও অবৈধ দখলদাররা তাদের দোকানপাট সরিয়ে না নেয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চসিক। চট্ট্গ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয় যে, জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিচ্ছন্ন শহরের বিকল্প নেই। নগরী নালা-নর্দমা উপর ও খালের জায়গা দখল করে দালান কোঠা নির্মাণ জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। এসব অবকাঠামোর কারণে নগরের পানি স্বাভাবিক চলাচলের অন্তরায় সৃষ্টি করে থাকে। তাই নগরীর নালা-নর্দমা এবং খালের উপর যারা অবৈধ দোকানপাট, দালান নির্মাণ করেছে, তাদেরকে স্ব-স্ব উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানান মেয়র। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিটি কর্পোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। অভিযান চলাকালে চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। এতে সহায়তা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট