চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোয়াংছড়িতে অর্ধদিবস হরতালের ডেকেছে আ.লীগ

বান্দরবানে ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে গুলি করে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা হ বান্দরবান

২৩ জুলাই, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম মং মং থোয়াই মারমা (৫৬)। তিনি রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। গতকাল সোমবার দুপুর একটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে রোয়াংছড়ি হতে বান্দরবান শহরে আসার সময় শামুখ ঝিরি এলাকার কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে ব্রাস ফায়ার করে হত্যা করে। গুলি তার বুক, পিঠ ও পায়ের কয়েকটি অংশে ভেদ করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুব কাছ থেকে করা ব্রাশফায়ারে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার পর ঐ এলাকায় সেনাবাহিনী পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর জানান, দুপুরে রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদে বৈঠক করে মোটরসাইকেল যোগে বান্দরবানে আসার পথে রোয়াংছড়ি সড়কের শামুখ ঝিরি এলাকার কাছে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তারাছা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মং মং থোয়াইকে ব্রাশ ফায়ার করে। গুলি তার বুক পিঠ ও পায়ে লাগে। এছাড়া তার মোটরসাইকেলটিতেও গুলি লাগে। খুব কাছ থেকে দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ারের করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে তার লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে যান পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সমর্থকরা। রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চ হাই মারমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মং মং থোয়াই সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে জেলা শহরে অবস্থান করছিলেন। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদে বৈঠক শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে জেলা শহরে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। এদিকে এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে ইতিমধ্যে রোয়াংছড়ি ও সম্ভাব্য এলাকায় সেনাবাহিনী পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। প্রসঙ্গত গত ২২ শে জুন রোয়াংছড়িতে অং থোয়াই চিং নামের জনসংহতি সমিতির এক সমর্থককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় ওই এলাকার আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতির অনেক নেতাকর্মী সমর্থক এখন এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন। গত তিন মাসে বান্দরবানে জনসংহতি সমিতি অমগ লিবারেশন পার্টির মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট