চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রি-একনেকে চসিকের অর্ধশত কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২২ | ২:৫০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিবিরহাট গরু বাজারকে বাণিজ্যিক ভবন এবং কাঁচাবাজারকে কিচেন মার্কেট করার প্রকল্প প্রি-একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি পাঠানো হচ্ছে। অর্ধশত কোটি টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে চসিকের আয়ের নতুন উৎস তৈরি হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্প ব্যয়ের ৯০% ফান্ড বাংলাদেশ সরকার দেবে। ১০% ফান্ড চসিক দেবে। কিচেন মার্কেট ভবনটি ৪ তলা আর বানিজ্যিক ভবনটি ২ তলা পর্যন্ত করার পরিকল্পনা আছে চসিকের। গরুর বাজারের জায়গাটির আয়তন প্রায় ৬৯০০০ বর্গফুট। আর কাঁচা বাজারের জায়গাটির আয়তন ১৯১৬৬ বর্গফুট।

জানতে চাইলে চসিকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মো. নুর উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর ও দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। মাইগ্রেশনের কারনে এই শহরের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ধিত জনসংখ্যা নগরীর বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ভিড় করছে। যার কারণে নগরীতে বিদ্যমান কাঁচাবাজারগুলোতে প্রচুর লোক সমাগম হচ্ছে। কখনও কখনও বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়ক ও মোড়গুলোতে রাস্তার পাশে হাটবাজার বসছে। এতে পথচারী চলাচল ও সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর কাচাাঁবাজারগুলো বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে ভূমি দখল করে গড়ে উঠছে। এতে একদিকে যেমন বেশি জায়গা নষ্ট হচ্ছে, তেমনি প্রচণ্ড স্বাস্থ্যহানিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় বাজার সরিয়ে খোলায় মাঠে ব্যবস্থা করা হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বহুতল ভবনে কিচেন মার্কেট ব্যবস্থা করা গেলে যেমন স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাঁচা বাজার পরিচালনা করা যাবে। একইসাথে করোনা মহামারির পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মহানগরীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কিচেন মার্কেট পরিচালনা করা গেলে উন্নত বিশে^র ন্যায় চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর পরিবেশে কাঁচাবাজার পরিচালনা করা যাবে। প্রস্তাবিত কিচেন মার্কেটে পণ্য অনুযায়ী আলাদা ফ্লোরের ব্যবস্থা করা হবে। একইসাথে মার্কেটের জন্য একটি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখা হবে।

তিনি জানান, বর্তমানে নগরীতে বেশ কিছু বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। কিন্তু এই মার্কেটগুলো কাঁচা বাজার থেকে অনেক দুরে ও সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশে গড়ে উঠেছে। এতে করে শীত, বর্ষাসহ দুর্যোগ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিচেন মার্কেট কাম বাণিজ্যিক ভবনগুলোর মাধ্যমে একই পরিসরে কাঁচা বাজার ও অন্যান্য গৃহস্থালি পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা করা যাবে।

এতে নগরবাসীর  দুর্ভোগ লাঘব করে বিশ^মানের নগর সেবা প্রদান করা যাবে। এসব বিষয় ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত মার্কেটগুলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে। বরাদ্দ দেওয়া দোকান থেকে রাজস্ব পাবে। এতে নগরবাসীকে অন্যান্য সেবা প্রদানেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট